সব
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৯জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নগর গ্রামে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত লুৎফুর রহমান (৫৫) ওই গ্রামের করিম মুন্সির ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বারর গ্রুপ ও ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান সজীবের পরোক্ষ সম্পৃক্তায় মিলোয়ার হোসেন মিলু গ্রুপের মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে শনিবার বেলা ১২টার দিকে দুই গোষ্টির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গ্রাম থেকে পুলিশ আসার পরই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বোরো জমিতে কাজ করতে যান লুৎফুর রহমান। একই সাথে কাজে যান মখলিছ মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া। এ সময় আবারও দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাসুম মিয়া ও লুৎফুর রহমানের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মাসুম মিয়া একটি ইট দিয়ে লুৎফুর রহমানকে আঘাত করেন। এসময় লুৎফর মিয়া গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লুৎফুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় লুৎফর মিয়ার স্বজনরা মিলোয়ার হোসেন মিলুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মনির হোসাইন জানান-লুৎফর মিয়াকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তবে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে যারা তাকে নিয়ে এসেছেন তাদের কাছ থেকে জানতে পারি যে উনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন ছিলেন। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসার পর আবারও একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
স্থানীয়রা মিলুকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছেন ।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি