সব
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতি বিরাজ করছে। দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। এরমধ্যে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে, সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনো হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সরকার দুর্নীতিকে সংরক্ষণ করতে চায়, প্রোডাকশন দিতে চায়।
বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা না করলে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ এবং জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার দুর্নীতি প্রকাশ পেত না। দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তারা সরকারি দলের লোকজন। তাদের রক্ষা করার জন্যই এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এর ফলে সামনের দিনগুলো স্বাস্থ্য খাতে আরও ভয়ঙ্কর হবে। মানুষ কোনো সেবাই পাবে না।
বন্যা পরিস্থিতি তিনি বলেন, কিছু নদীর পানি কমতে থাকল অনেক এলাকায় বন্যার অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যায় মানুষের ঘরবাড়ি গবাদিপশু ভেসে গেছে। ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ত্রাণ এবং বন্যা মোকাবেলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা থাকলেও আমরা তা দেখিনি।
বন্যার্তদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, বানভাসি মানুষ খাদ্যের অভাবে মানবেতার জীবনযাপন করছে। কুড়িগ্রামে করোনা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। যেখানে ঢাকাতে কোনো চিকিৎসা নেই সেখানে কুড়িগ্রামে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পাওয়া কল্পনাও করা যায় না। এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় নরকতুল্য বিরাজ করছে। করোনা মোকাবেলায় কোনো ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস হওয়ার পরও সরকারের টনক নড়েনি। করোনা মোকাবেলায় সরকারের কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা ছিল না। কার্যত ব্যবস্থা নিতে পারেনি দেশবাসী তা দেখেছে। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ রাস্তায় এম্বুলেন্সে মারা গেছে। সরকার মানুষের সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি