সব
সিলেট শহরের মিরাবাজারে পুরনো শ্যাওলা ধরা দালানের একটি ঘর। মধ্যরাত। ‘পাঁচ-ছ’ বছর বয়সী একটি শিশু বাবা-মা’র পাশে ঘুমুচ্ছে। বাইরে উথাল পাথাল জোছনা। সেই জোছনা বাড়ির ভেন্টিলেটার দিয়ে ঘরে ঢুকছে, পড়েছে শিশুটির মশারির ছাদে। মনে হচ্ছে আলোর ফুল ফুটে আছে। হঠাৎ শিশুটির ঘুম ভেঙে গেল। সে বিস্ময় এবং ভয় নিয়ে তাকিয়ে রইল জোছনার ফুলের দিকে। এক সময় বাবাকে ডেকে বলল ‘এটা কি?’ শিশুর বাবা ফুলের রহস্য ব্যাখ্যা করলেন- ভেন্টিলেটরে ফুলের নকশাকাটা। জোছনা ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকছে বলেই ফুল হয়ে মশারির ছাদে পড়েছে। “ভয়ের কিছু নেই।” শিশুটির ভয় তারপরও যায়না। তখন বাবা বললেন “হাত দিয়ে ফুলটি ধর, ভয় কেটে যাবে।” শিশুটি সেই ফুল হাত দিয়ে ধরতে গেল। যতবারই ধরতে যায় ততবারই ফুল হাত গলে বের হয়ে যায়… এ কী বিস্ময়!
শিশুটি ছিলেন হুমায়ূন আহমদ। সেদিন হাত গলে বের হয়ে গেলেও শিশু হুমায়ূনের মস্তিষ্কে ঢুকে গিয়েছিলো জোছনার বিস্ময়কর আলো। বড় হয়ে জোছনার সেই অলৌকিক ঘ্রাণ, মায়াবী আলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। হুমায়ূন বলতেন- “আকাশে আজ মস্ত বড় চাঁদ উঠেছে। রূপার থালার মতো চাঁদ।” কি আশ্চর্য ব্যাপার – অমনি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী সেই জোছনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন হুমায়ূন পাঠকরা। পূর্ণিমা রাতে আকাশে চাঁদ উঠলে, দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যায়। ভেতরে ঢুকে বিস্তৃত প্রান্তর। হুমায়ূন পাঠকরা এখনো সেই বিস্তৃত প্রান্তরে হাটেন। হয়ত অনন্ত কালই হাটবেন। হৃদয়ে বইবে অনুভূতিরর বৃষ্টি- জোছনার সুখ।
“চান্নি প্রসর, চান্নি প্রসর, আহারে আলো….”
রহস্যের এ পৃথিবীতে বৃষ্টি, জোছনা চিরকালই ছিলো। কিন্ত প্রকৃতির এ সুন্দর আরো চমৎকারভাবে আমাদের লিখে দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। যে কারণেই আমরা অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করি। আকাশে মস্ত বড় চাঁদ আসলে উকি দিই অবাক দৃষ্টিতে। জোছনার মায়াবী নীল আলোয় ভেসে যাই অলৌকিক স্বপ্নের জগতে। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন বলেই টিনের চালে বৃষ্টির ঝনঝন শব্দ আমাদের কানে সেতারের সুমধুর সুরে ঢেউ তুলে। চারদিকে এক অদ্ভুত লিলুয়া বাতাস খেলা করে। যেন-
“বাদল দিনেরো প্রথম কদম ফুল করেছ দান,
আমি শুনাতে এসেছি শ্রাবণেরও গান।”
মানুষের হাতে পাঁচটি আঙুল থাকে। হুমায়ূন আহমেদ জন্মেছিলেন ছয়টি আঙুল নিয়ে। অলৌকিক সেই আঙুলের নাম কলম। হুমায়ূন আহমেদ কলম দিয়ে ম্যাজিক দেখিয়ে গেছেন জীবনভর। শব্দের এই জাদুকর- হ্যামিলনের সেই বাশিওয়ালার মতো এক সম্মোহনী জাদুতে শিকলবন্দী করে ফেলেছিলেন বাঙালীদের। বাংলায় খুব কম সংখ্যক সাহিত্য জাদুকরই আছেন-যারা শব্দ শিকলে বন্দি করতে পেরেছেন বাংলাভাষী পাঠকদের। সেই ক্ষণজন্মাদের একজন হুমায়ূন। বাঙালীর প্রাণে প্রাণে যিনি ছড়িয়েছেন হাজার অনুভুতি। শ্রাবন মেঘ হয়ে অনুভুতির বৃষ্টি ঝড়িয়েছেন। যুক্তির বিন্যাসে আবেগকে করেছেন ভ্যানিস-আবার সেই আবেগের ডানায় উড়িয়ে মানুষকে ‘কাদিয়েছেন মন খারাপের দিন হয়ে’। আর সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে মাতাল হাওয়ায় ভাসিয়েছেন হলুদ হিমুদের। হুমায়ূন আহমেদ-নামটিই যেন এক সম্মোহনী জাদু- এক অমিয় ভালোবাসা।
আজ শব্দ জাদুকরের প্রয়াণ দিবস। ২০১২ সালের এই দিনে মৃত্তিকার বুকে হারিয়ে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। কালান্তক ক্যান্সার খুব অসময়েই কেড়ে নেয় এই কথাসাহিত্যিককে। বিংশ শতাব্দীতে এসে বাংলা সাহিত্য যখন পথহারা নাবিক-ঠিক তখনই আবির্ভাব তাঁর। এক সম্মোহনী শক্তি ছিলো তাঁর হাতে। খুব অল্প সময়ে তিনি বাংলা পাঠকদের একত্রিত করতে পেরেছিলেন। সাহিত্য বিশারদ থেকে সাধারণ মানুষ- সবার হতে বই তোলে দিতে পেরছিলেন এই হুমায়ূনই। যে কারনে তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এমনকি গীতিকারও। একাধিক চর্চার এমন লেখনি শক্তি খুব কম সাহিত্যিকের আছে। বাংলা সাহিত্যের আকাশে এক অনবদ্য ধূমকেতু হয়েই উদিয়মান আছেন হুমায়ূন আহমেদ। সাহিত্যে এক সরল যোগেরও চিত্র একেঁছিলেন তিনি। যে কারনে আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞানের পথিকৃৎ বলা হয় তাকে। নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণেও তিনি ছিলেন অসামন্য প্রতিভা । হুমায়ূন আহমেদের নাটক মানেই-মন ভালো হয়ে যাওয়ার উপাদ্য, পেটে খিল ধরা হাসির উল্লাস। আর চলচ্চিত্র মানে সমাজ বদলের এক নিরব যুদ্ধ। গ্রামীণ সুখ-দুখেরর চরিত্র গুলো হাস্যরসে কী সহজ ভাবেই না ফুটিয়ে তুলেছিলেন। যা আর কেউ পারছেনা। বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন যেখানে হাতে ছ্যাপ দিয়ে টাকা গুণতে ব্যস্ত -ঠিক তখন হুমায়ূন আহমেদ নিজ তাগিদেই বিজ্ঞাপন বানালেন। নব্বইয়ের দশকে বিটিভির সেই বিজ্ঞাপনের কথা মনে আছে পাঠক? ‘এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে, এই দিনেরও নিবে তোমরা সেই দিনেরও কাছে’। সেই বিজ্ঞাপন থেকেই দেশে শতভাগ শিক্ষার বিপ্লব। বাংলাদেশের প্রাথমিকে শতভাগ শিক্ষার কোটা পেরিয়েছে বহু আগেই। হুমায়ূনের সেই বিজ্ঞাপনই যে সাফল্যের দাবীদার বহুঅংশে।
গাছ নিয়েও যে বিজ্ঞাপন হয় তা আমাদের চিন্তায় আসবে কোনদিন? এই মহামারি করোনা এসেছে পৃথিবীতে। চারদিকে অক্সিজেনের অভাব। কাছ কেটে কেটে আমরা সজীব নিঃশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। বহু বছর আগে হুমায়ূন আহমেদ তা-ই চিন্তা করেছেন। গাছ নিয়ে চমৎকার এক বিজ্ঞাপন বানালেন। আশির দশকে বিটিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় সেই বিজ্ঞাপন, জিংগেলটি এমন-
‘আল্লাহর দান এই গাছ। যারা চিনতে পারে, তারা নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে পারে, আর যারা চিনতে পারে না তাদের জন্য আমি। আমি কবিরাজ। গাছ দিয়া আমি আমি প্রশ্ন করি আপনারা উত্তর দেন।
–গাছ আমাদের কি কামে লাগে?
— গাছ আমাগো অনেক কামে লাগে।
–যেমন?
–গাছ আমাদের নানা রকম ফল দেয়।
— আর ?
— গাছ আমাদের ছায়া দেয়।
— আর ?
— লাকড়ি দেয়, চুলা জ্বালাই।
–আর
— কাঠ দিয়া খাট পালঙ্ক বানাই।
হের লেইগা । হের লাইগা-বেবাক গাছ কাইটা ফালাইতাসে।
কিন্তু আসল কথাটা কেউ কইলেন না। দমের কথা !
প্রতিটা নিঃশ্বাসের লগে আমরা যে অক্সিজেন নেই, সেটা কে দেয়? কবিরাজ বলে যাচ্ছেন –
ভাইসব…
একেকটা গাছ একেকটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। আর দেয় ওষুধ যা আমি আপনাগো পৌঁছাইয়া দেই।
সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া ?
— কি গো কবিরাজ, কি খোঁজতাসেন ?
— আইচ্চা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিলো না?
— আছিলো, কাইট্টা ফালাইছে।
— এইখানে একটা শিশু গাছ আর ঐ মাথায় একটা হরতকী গাছ।
— আছিলো , কাইট্টা ফালাইছি।
— আপনের গাছ ?
— হ । টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি।
— গাছ লাগাইছিলো কে?
— আমার বাবায়।
— আপনি কী লাগাইছেন ?
— আমি কী লাগাইছি ?
— হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।
কবিরাজ আবার জড়ো করেন সবাইরে। বলেন-
আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না।
প্রশ্ন করতে পারেন কেন?
উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ দাদার লাগনো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি?
অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন ?
আহো, মিয়া ভাই তোমারে নিয়া একটা চারা গাছ লাগাই আর মনে মনে কই সবুজ দুনিয়া দেখতে চাই, বুক ভইরা দম নিতে চাই।
আর আমাদের সন্তানেরা, তোমাগোর লাইগ্যা টাকার গাছ লাগাইলাম। অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি বানাইলাম।
মানুষকে সচেতন করে, হুমায়ূন আহমেদ বসে থাকেনি। নিজ হাতে গড়েছেন নূহাশ পল্লী। সেখানে ফলজ, বনজ আর ঔওষধি মিলিয়ে শ’জাতের কয়েক লাখ গাছ লাগিয়ে নূহাশ পল্লীকে করেছেন সবুজ অরণ্য।
হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীরও জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে। বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলী চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। যেখানে হিমু ছিলো আবেগ আর মিসির আলি যুক্তির দিকদর্শন। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোও পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। টেলিভিশন নাটকগুলোও ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলো সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। হুমায়ূনের অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। লেখালিখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। বরণ্য এ লেখকের শৈশব কাটে সিলেটে। যে কারনে সিলেট ছিলো তাঁর অতি প্রিয়। নগরের মিরাবাজারে (উদ্দীপন-৩০) একটি ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন ছিলেন তিনি। সেসব স্মৃতি নিয়ে কিছু শৈশব নামে একটি বই লিখেছেন । সিলেটি বৃষ্টি ছিলো তাঁর অতি প্রিয়। তাই সুযোগ পেলেই সিলেট আসতেন। উপভোগ করতে খাটি সিলেটি বৃষ্টি। মূলত হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখির অলৌকিক এক ভুবন তৈরী হয়েছিলো এই সিলেট থেকেই। পুলিশ অফিসার বাবার চাকরীর সুবাধে সিলেট নগরের মিরাবাজারে বাস করতেন। পুরনো আমলের বৃটিশ প্যাটার্নের বাংলা বাড়ি। শ্যাওলা ধরা ওয়াল। সেই ঘরে মন টিকতোনা শিশু হুমায়ূনের। মায়ের চোখ ফাকি দিয়ে বেড়িয়ে পড়তেন। ঘুরে বেড়াতেন মিরাবাজারের অলিগলি।
একদিনের কথা – হুমায়ূন আহমেদ ঘর থেকে বেড়িয়েছেন। ঘুরতে ঘুরতে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন। কি সুন্দর ঘরের ভেতর। সবকিছু ছিমছাম পরিস্কার। জানায় ঝুলছে দামী পর্দা। মাথার উপরে সিলিং ফ্যান ঘুরছে। বইছে শীতল বাতাস। ভেতরের ঘর থেকে বের হয়ে একজন তরুণী। কি সুন্দর চেহারা। মানুষ এতো সুন্দর হতে পারে। শিশু হুমায়ূন আবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন। তরুণী জিজ্ঞেস করেন তুমি কোন বাড়ির খোকা। এখানে কিভাবে এলে। হুমায়ূন কোনো জবাব দিতে পারেননা। তরুণী বুঝতে পারেন শিশুটি আশেপাশের কোন বাড়ির। একসময় পাশের ঘর থেকে কদম ফুল এনে হুমায়ূনের হাতে দিয়ে তরুণী বলেন খাও। কদম ফুলটি খেয়ে শিশু হুমায়ূন আরো বিস্ময়ে পড়েন। এমন অমৃত স্বাদের খাবার কোনদিন খাননি আগে। আসলে হুমায়ূনের চোখে সেই কদম ফুলটি ছিলো একটি মিষ্টি। সেই মিষ্টির স্বাদে পরদিন আবার হুমায়ূন গিয়ে সেই বাড়িতে হাজির হন। সঙ্গে ছোট বোন শেফু। কিন্তু লজ্জায় পড়ে যান শোক্লা। ও বলা হয়নি সেই তরুণীর নাম ছিলো শোক্লা। মিষ্টি দিতে না পারলেও হুমায়ূনের হাতে শোক্লা একটি বই তোলে দেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষীরের পুতুল। বইটি পড়ে হুমায়ূন পাঠে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বাবার লাইব্রেরী থেকে বই বের করে লুকিয়ে পড়তে থাকেন। বাবা দেখে ফেলেন একদিন। শিশু পুত্রের বই নেশা দেখে মুগ্ধ বাবা একদিন নিয়ে চলেন সিলেট নগরের দরগা গেইটস্থ প্রাচীন গ্রন্থাগার মুসলিম সাহিত্য সংসদে।
সেখানে সদস্য করে বলেন- এখেনে প্রচুর শিশু সাহিত্য আছে। পরতে থাকো। অনুভূতির দুয়ার খুলে সেখান থেকেই। হুমায়ূন আহমেদ ছোট ভাই জাফর ইকবাল আর বোন শেফুকে নিয়ে প্রতিদিন মিরাবাজার থেকে দরগায় প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ হেটে বই পড়তে যান। যে যাত্রা থামেনি। বইয়ের সেই নেশা ছড়িয়ে দেন তরুণ বয়েসে এসে। কলমের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করে নেন সবাইকে। করেন স্বপ্নমুগ্ধও।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি