সব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ খোলার মতো অবস্থা এসেছে বলে তাদের কাছে মনে হচ্ছে না। তবে এইচএসসি ও জেএসসি এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বিষয়টি কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আর কওমি মাদ্রাসার উচ্চস্তরের পরীক্ষা (দাওরায়ে হাদিস) নেয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এসব বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকে ‘দ্য বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (সংশোধন) অর্ডার, ১৯৭৩’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এখন তা কম। এর ফলে এর পরিধি যেমন বাড়বে, তেমনি অনেক কাজ করা যাবে। এ ছাড়া আইন ভঙ্গের অপরাধের জন্য শাস্তি-জরিমানাও বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো আইনের সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেগুলো নতুন আইন না করে সংশোধন আকারে হবে। ওই সময়ে রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা কেমন ছিল, সেটা বোঝার জন্যই এটি করা হয়েছে।
বৈঠকে ‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নীতি’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য এই নীতি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মিল রেখে এই নীতি করা হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার মত পরিবেশ এখনও সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষা সচিব এ কথা জানান।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবের বিষয়েও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি