সব
ফের উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। জেলার সবকটি উপজেলার গ্রামীণ হাটবাজার ও বাড়িঘর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ধর্মপাশাসহ জেলার ১১ উপজেলা ও চারটি পৌরসভার বয়স্ক নারী, পুরুষ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। প্রতিটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ সড়কগুলো কয়েক ফুট পানির নিচে। উপজেলা ও জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে চলছে নৌকা।
প্লাবিত এলাকার গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন সমস্যায়। বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে গোখাদ্য, খড়ের বড় বড় পিরামিড পানির নিচে। নদীর পানি বাড়ায় জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও জামালগঞ্জ উপজেলাসহ সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সবকটি আবাসিক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার সড়কগুলো ৩ থেকে ৫ ফুট পানির নিচে রয়েছে। সুরমা নদীর ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে প্রবল বেগে শহরে পানি ঢুকেছে
ভারতে পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা শনিবার (১০ জুলাই) সকালে ছিল ৫৪ সেন্টিমিটার। রাতে পানি কমে গেলেও রোববার সকাল থেকে আবারও বাড়তে থাকে সুরমা নদীর পানি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় ও চেরাপঞ্জিতে পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার মাত্র ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯২ মিলিমিটার। সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কম হলেও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাত থাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি নদীতে চলে আসায় বিভিন্ন নদ নদীর পানি বিপৎসীমা পেরিয়ে শহরে ও হাওরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিলেট আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রোববার সকালে সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তখন ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত কমে যাবে এবং সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জে রোববার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং উজানের পানির ঢল অব্যাহত থাকবে। তবে আগামীকাল থেকে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কমে যাবে, তাই আশা করা যায় কাল থেকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও কমেছে
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি