সিসিকের নতুন ওয়ার্ড নিয়ে অর্ধশতাধিক আপত্তি

;
  • প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২২, ৮:০০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়তন বর্ধিতকরণের পর আড়াই গুণ বেড়ে প্রায় ৬০ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে সিসিকে অন্তর্ভূক্ত নতুন ১২টি ওয়ার্ড গঠনের মাধ্যমে বর্ধিত এলাকা চিহ্নিত করে গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।

নতুন এসব ওয়ার্ড গঠনের পর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগে পড়ছে একাধিক আপত্তি। আপত্তি জানানো আবেদনের বেশির ভাগই সীমানা নিয়ে। কেউ ওয়ার্ড বিস্তৃত করতে চান। আবার কেউ পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডে সংযুক্ত হতে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে ৫৬টি আপত্তি পড়েছে।

যেসব আবেদনের যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে সেসব আবেদন আমলে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্র।

সিসিক সূত্র জানায়, আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে ছোট সিটি করপোরেশন ছিল সিলেট। এত দিন ধরে ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ২৭টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে চলছিল করপোরেশনের কার্যক্রম। ২০১৪ সালের ২২ জুলাই সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিটি করপোরেশনের আয়তন বৃদ্ধির আবেদন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। ওই বছরের আগস্ট মাসে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সরুজ কুমার নাথ সীমানা পরিবর্তন, সম্প্রসারণ এবং সংকোচন বিধি অনুযায়ী তথ্যাদি উল্লেখ করে পুনরায় প্রস্তাব প্রেরণ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন সিসিককে।

২০১৫ সালে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও সিটি করপোরেশনের সীমানা বর্ধিতকরণের উদ্যোগ নেন। তিনি সিসিকের আয়তন ১৮০ বর্গকিলোমিটার করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি শুরু করেন। ২০১৫ সালের ২৩ জুন সিসিকের আয়তন ছয় গুন বৃদ্ধির একটি প্রস্তাবনাও দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে। তবে চা বাগান, জলাশয় ও হাওর সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে রেখে বর্ধিত সিসিকের আয়তন দাঁড়ায় ৬০ বর্গকিলোমিটারে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩১ আগস্ট সিলেট সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু মৌজাকে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একীভূত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন আওতাভুক্ত এলাকাগুলোকে ১২টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। নতুন এই ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯টি।

সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা প্রশাসককে। ওয়ার্ড নিয়ে আপিলের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় আট মার্চ পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে কারও কোনো আপত্তি থাকলে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করার আহ্বান জানানো হয়। এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৬টি আবেদন পড়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ৮ মার্চ সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ড গঠন সংক্রান্ত আপিলের শেষ দিন ছিল। ওই সময়ের মধ্যে ৫৬টি আবেদন পড়েছে। এখনো সব আবেদন পড়ে দেখা হয়নি। যেসব আবেদনের যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে সেসব আবেদন আমলে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি