সিলেট ৭ আগস্টের ভয়ংকর এক সন্ধ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
  • প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২০, ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম এক জঘন্য দিন।  বোমা আর গ্রেনেডের সাথে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের উত্থানপর্বের এইদিন সন্ধ্যায় কলংকিত হয়েছিল সিলেটের মাটি। আজ থেকে ১৬ বছর আগে ভয়ংকর এক সন্ধ্যার গল্প। ঐ বছরই মে-মাসে শহজালালের মাজারে বৃটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর উপর হামলার পর আবার হামলা হলো সিলেটের পবিত্র মাটিতে।

নগরীর তালতলাস্থ গুলশান সেন্টার কেঁপে উঠেছিলো গ্রেনেডের বিকট শব্দে। আর সিলেটের বাতাস ভারী হয়েছিল রক্তাক্ত মানুষের আর্তচিৎকারে।সেই সন্ধ্যায় গুলশান সেন্টারে ছিলো সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মীসভা। ১৫ আগস্ট শোক দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণের জন্যই সেখানে জড়ো হয়েছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন নেতাকর্মী জানিয়েছেন, দ্রুত সভার কাজ শেষ হয়েছিল। সিলেটের তৎকালীন মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান একটি জানাজায় যোগ দিতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল। তাই সভাটি সংক্ষিপ্ত করা হয়।সভাশেষে যখন নেতাকর্মীরা সেন্টারের সামনে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছিলেন, ঠিক তখনি হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এই হামলায় আহত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন সম্প্রতি বিস্ফোরণের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, দ্রুত সভার কাজ শেষ করে আমরা যখন বাইরে খোশগল্প করছিলাম, ঠিক তখনই হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। চোখের সামনেই একটি জিপগাড়ি অগ্নিকুন্ডলী হয়ে উঠে যায় কয়েক ফুট উঁচুতে।

রক্তাক্ত নেতাকর্মীদের চিৎকারে গোটা এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে।এই হামলায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যুবরণ করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহীম আলী।আহত হয়েছেন অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন। এখনও তাদের কারও কারও জীবন রীতিমতো বিছানাবন্দী। আর শরীরে স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন প্রায় সবাই।

উল্লেখ্য, এই হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি এখনও বিচারাধীন। তবে মামলায় মূল অভিযুক্ত মুফতি হান্নান ও বিপুলকে অন্য একটি মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি