সব
সিলেট বিভাগে প্রতিদিন বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৫ এপ্রিল সিলেট বিভাগে প্রথম রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম দিকে রোগী শনাক্তের হার ছিলো তুলনামূলক কম। তবে সবশেষ একমাসে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে।
সবশেষ শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫১৮ জন। এরমধ্যে বেশিরভাগই সিলেট জেলার বাসিন্দা।
একই অবস্থা মৃত্যুর হিসেবেও। প্রথমদিকে করোনাভাইরাসে রোগী মৃত্যুর হার কম থাকলেও বর্তমানে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ১১৬ জন রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখানেও এগিয়ে সিলেট জেলা। এ জেলায় সবচেয়ে বেশি রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর সবচেয়ে কম রোগী মারা গেছেন হবিগঞ্জ জেলায়।
আর করোনাভাইরাস জয় করে সিলেট বিভাগের ২৫৫৬ জন রোগী বাড়ি ফিরছেন। সবচেয়ে বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার আর সবচেয়ে কম রোগী সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলায়।
শনিবার (১৮ জুলাই) সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র কার্যালয়ের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
সিলেট বিভাগের ৪ জেলার মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতে শীর্ষে রয়েছে সিলেট। জেলায় এ পর্যন্ত ৩৪০৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৬ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৮ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৭৫৮ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৩ হাজার ৯৩০ জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ৩ হাজার ৫৪৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিরা এখনও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন।
আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সুনামগঞ্জ। এ পর্যন্ত সেখানে ১২৬০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৯২২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১২ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৬ হাজার ২৫৩ জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ৬ হাজার ১৯০ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিরা এখনও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন।
আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে হবিগঞ্জ। এ পর্যন্ত সেখানে ১০৩২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫৯ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৪৬৭ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৮ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ২ হাজার ৯২৬ জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ২ হাজার ৮৬৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিরা এখনও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন।
অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় নীচে অবস্থান করছে মৌলভীবাজার জেলা। এ জেলায় ৮১৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৫ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৪০৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৩ হাজার ৫৪ জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ২ হাজার ৯৭০ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিরা এখনও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনায় মোকাবিলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের উপসর্গের মাত্রা কম থাকলে তাদের বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর উপসর্গ বেশি হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি