সব
সিলেট তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর অংশে ট্রাফিক পুলিশের দুই আইন। বৈধ কাগজপত্র ও বিআরটিএ অনুমোদিত গাড়িতে হয় আইনের প্রয়োগ। পক্ষান্তরে নাম্বার বিহীন টোকনে চালিত সিএনজি অটোরিকশাগুলোতে নেই আইনের প্রয়োগ। যদিও সরকার মহা সড়কে সিএনজি অটো রিক্সা চলাচল নিসিদ্ধ করলেও এই রোডে তার প্রয়োগ নেই। যেন দেখার কেউ নেই ?
সরেজমিনে নভেম্বর ডিসেম্বর মাসব্যাপী সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়। জৈন্তাপুর উপজেলার বাজারগুলোর যানজট নিরসনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি করোনা কালে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেখা যায়- জৈন্তাপুর সদরে সার্বক্ষনিক কোন না কোন যানঝট লেগেই থাকে। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের হরিপুর বাজার, দরবস্ত বাজার ও সারীঘাট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে তাদের দেখা মিলেনি।
যানঘট এলাকায় তাদের দেখা না মিললেও দেখা মিলেও সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে হরিপুর বাজার পার হয়ে করিছের ব্রীজের মধ্যবর্তী স্থানে, পাখিটিখি, বাঘের সড়ক, দামড়ী, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, বাধরোকা, হাইওয়ে পুলিশের নির্মাণাধীণ কমপ্লেক্স এর সম্মুখে, কাটাগং, কদমখাল এলাকায় তাদেরকে বেশির ভাগ সময় যান বাহনের উপর অভিযান পরিচালনা করতে দেখা মিলে। সিলেট হতে কানাইঘাট রোড, সিলেট হতে গোয়াইনঘাট রোড, সিলেট হতে জাফলং রোড চলাচলরত যাত্রী সাধারণ ট্রাফিক পুলিশের বাস্তব চিত্র সম্পর্কে সকলেই কমবেশি বলে। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে চলাচলরত যে কোন ধরনের গাড়িতে অভিযান পরিচালনার এখতিয়ার রয়েছে।
সে অনুযায়ী যে কোন গাড়ির কাগজপত্র, চালকের লাইসেন্স দেখে মেয়াদ উত্তীর্ণ কিংবা লাইসেন্স এর মেয়াদ অতিক্রম হওয়ার পরও তারা লাইসেন্স নবায়ন করেনি বরং গাড়ি চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু এই রোডে চলাচলকারী নাম্বার যুক্ত গাড়ি গুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে নাম্বর বিহীন টোকনে পরিচালিত সিএনজি অটো রিক্সা গুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। অপরদিকে ট্রাফিক সপ্তাহ পরিচালিত হলেও নাম্বার বিহীন যানবাহণ গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ইমা, লেগুনা, সুজুকী, হিউম্যান হুলার, সিএনজি অটোরিক্সার, পিকআপ চালকরা বলেন, কে না জানে সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ট্রাফিকরা কি করছেন। তারা শুধু মাত্র আইন মোতাবেক অনুমোদিত গাড়ি গুলোতে অভিযান পরিচালনা করে মামলা করছে। কিন্তু সিলেট-তামাবিল মহা সড়কে অন্তত প্রায় ৫হাজার নাম্বার বিহীন গাড়ি বা সিএনজি অটো রিক্সা রয়েছে যাহা টোকনে পরিচালিত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এসব সিএনজি অটো রিক্সা ব্যবহার করে মাদক পাচারসহ অবৈধ কার্যকলাপ পরিচারিত হলেও তাদের রিরুদ্ধে নেই ট্রাফিক পুলিশের আইনগত ব্যবস্থা। আইন শুধু আমাদের বিরুদ্ধে সামান্য ক্রুটি বিচ্যুতি পেলেই মামলা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টোকন পরিচালিত ২০/২২ জন সিএনজি চালক জানান, আমরা ইতোপূর্বে চতুল বাজার শাখা নামক টোকনে ৪০০ হতে শুরু করে ৭০০ টাকা দিয়ে টোকন ক্রয় করে গাড়ি পরিচালনা করে আসছি। এই টোকন দিয়ে শুধু মাত্র জৈন্তাপুর উপজেলায় গাড়ি পরিচালনা করেত পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হত না।
বিগত ২ মাস হতে আমাদের এলাকায় আরও কয়েকটি টোকন পাওয়া যাচ্ছে যা ব্যবহার করে তিন উপজেলা জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট-কানাইঘাট চলাচল করা যায় ফলে পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয় না। অপরদিকে এই টোকেন আসার কারনে ৭০০ টাকা হতে দাম কমে ৪০০ টাকায় নেমে আসে। আমরা সুবিধা পাচ্ছি তাই টোকনের মাধ্যমে মহা সড়কে গাড়ি চলাচল করতে পারছি।
এবিষয়ে ট্রাফিক টিএসআই দিপাংঙ্করের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, আমরা আইনগত ভাবে যে কোন পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সাগুলো বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। গাড়িতে টোকেন থাকলে পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয় না বলে তারা জানান।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহসিন আলী জানান, যদিও আমার থানায় এলাকায় হাইওয়ে রোডে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে বিষয়টি তাদের এখতিয়ার, আমার নয়। আপনি এবিষয়ে সার্কেল স্যারের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে কানাইঘাট-জৈন্তা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আব্দুল করিম প্রতিবেদককে জানান, একই রোডে দুই আইন বলিতে কিছুই নেই। আইনগত সবার ক্ষেত্রে সামান। আপনি তথ্য দিন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। যেহেতু আপনি বলেছেন আর বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি