স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখা। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বেলা ৩টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলার সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে ও বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড আবু জাফর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার নেতা অ্যাডভোকেট নিরঞ্জন দাশ খোকন, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার আহ্বায়ক মুখলেছুর রহমান ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আহমেদ। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাঁটাইকৃত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ফারজানা ইসলাম, মো. রুবেল প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গোটা দেশের স্বাস্থ্যখাতে আজ এক অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকার বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা না করে বরং নো টেস্ট, নো করোনা নীতি গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ না করে বরং নানাভাবে তা প্রশ্রয় দিচ্ছে। সিলেটের চিত্রও এর ভিন্ন কিছু নয়। সিলেটে প্রতিদিন যেখানে দুই হাজার নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন সেখানে হচ্ছে দুইশ’রও কম। অবিলম্বে সিলেটে এই টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। দেশে যখন আরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী দরকার, তখন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮২ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার জন্য ছাঁটাই করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে তাদের চাকরিতে বহালের দাবি জানাই।

এ সময় সিলেটের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্যা-সংকট সুনির্দিষ্ট করে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন বক্তারা। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে সিলেট জেলায় প্রতিদিন ২ হাজার কারোনা পরীক্ষা ও বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পিসিআর ল্যাব ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা করতে হবে, করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য আরও কমপক্ষে ১০০০ শয্যা (আইসিইউ ও ভেল্টিলেটরসহ) বৃদ্ধি করতে হবে, বেসরকারি হাসপাতালসমূহ সরকার কর্তৃক আপতকালীন সময়ের জন্য অধিগ্রহণ করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে, করোনা পরীক্ষায় নির্ধারিত ফি বাতিল করে বিনামূল্যে সকল নাগরিকদের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা দিতে হবে, খাদ্য সরবরাহসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় অবিলম্বে লকডাউন নিশ্চিত করতে হবে, ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং আপতকালীন সময়ে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে মাস্টার রোলে নিয়োগ দিতে হব্র, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত ৮২ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপসারণ করা যাবে না, স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে হবে।