সব
সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়া গতিতে প্রতিযোগীতা করে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে ঝরে যাচ্ছে মূল্যবান প্রাণ ও পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকে।
এ অবস্থায় জনসাধারণের জীবন নিরাপদ রাখতে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চেকপোস্টের মাধ্যমে বেপরোয়া গতিতে চালানো মোটরসাইকেল চালক, নিষিদ্ধ যানবাহন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবুল খয়েরের নেতৃত্বে বিমানবন্দর সড়কসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়া গতিতে চালানো মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ৪২টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়। এছাড়া যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক প্রদর্শনকারী চালকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
অভিযানকালে মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত একজনের বেশী আরোহী, চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার না করা, গাড়ির বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত যানবাহন চালানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী সাইলেন্সার ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ করা, মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাস খোলা এবং উল্টোপথে গাড়ী চালানোর অপরাধে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে এই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ট্রাফিক বিভাগ।
এসময় মাইকিং এর মাধ্যমে মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত একজনের বেশী আরোহী বহন না করা, চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার করা, বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরসাইকেল না চালানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল না চালানো, উচ্চ শব্দকারী সাইলেন্সার ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ না করা, মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাস ব্যবহার করা এবং উল্টোপথে গাড়ী না চালানো, রাস্তা পারাপারে সতর্কতা, মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পারাপার না হওয়া, ফুটপাত ব্যবহার করা, রাস্তার ডান পাশ দিয়ে চলা, রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করা, সময় বাঁচাতে গিয়ে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত কোন কিছু বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এসময়উপস্থিত ছিলেন টিআই নিখিল জীবন চাকমা, টিআই হাবিবুর রহমান, সার্জেন্ট ফাহাদ মোহাম্মদ, সার্জেন্ট প্রকাশ তালুকদার, সার্জেন্ট স্বপন তালুকদার, সার্জেন্ট সুবির তালুকদার।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি