সব
সিলেটের কুমারগাঁও এলাকা থেকে ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জালালাবাদ থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। এরআগে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জালালাবাদ থানা পুলিশ ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জকিগঞ্জের লোহার মহল গ্রামের মৃত কটু মিয়ার ছেলে তৈমুছ আলী বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, জালালাবাদ থানাধীন শাহপুর তালুকদার পাড়ার শামসুদ্দিনের ছেলে ইমন আহমদ (২৭) ও বিশ্বনাথের নোয়াগাঁও দশঘর গ্রামের আব্দুল তাহিরের ছেলে আরমান ওয়াহিদ আলী (২২)। এছাড়া পলাতকরা হচ্ছে- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন লাখেশ্বর গ্রামের মৃতহ তহুর আলীর ছেলে জুবেল আহমদ (৩১) ও জালালাবাদ থানাধীন গোয়াবাড়ি এলাকার মুন্না (২৫)।
পুলিশ জানায়, গত রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তৈমুছ আলী কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে আম্বরখানা আসার জন্য একটি সিএনজিতে উঠেন। এসময় ইমন,ওয়াহিদ আলী, জুবেল আহমদ, মুন্না সিএনজি অটোরিকশায় ঘেরাও করে সিএনজি অটোরিকশায় উঠে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ২২ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনাইয়া নেয়। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে আম্বরখানা পয়েন্টে পৌছে বাদীর মোবাইল থেকে ছিনতাইকারীরা তাহার আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবী করে এবং অপর একটি সিএনজিতে করে কোতয়ালী থানাধীন মদিনা৷ মার্কেট কামার গলিতে নিয়ে যায়। এরপর বাদীর মোবাইল ফোন তার ভাগ্নে শুক্কুরকে টাকা নিয়ে আসতে বলে। ছিনতাইকারীদের কথামত শুক্কুর কামার গলি আসিলে তাকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৮হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর কুমারগাঁও এলাকার তৈমুছ আলীর তার এক ভাতিজার কাছ থেকে আরও ২০হাজার টাকা নিয়া দিবে জানালে ছিনতাইকারীরা রাত সাড়ে ১১টায় কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে আসলে তৈমুছ আলী সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে স্থানীয়দের অবগত করলে স্থানীয়রা ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান। তিনি বলেন, থানায় ৪ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি