সব
করোনাকে চ্যালেঞ্জ করতে সিলেটের মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রম চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। প্রথম দিনে সিলেট নগরীতে করোনা প্রতিরোধের টিকা নিয়েছেন প্রায় ৫ শত ৭২ জন মানুষ। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। বিকাল সাড়ে ৪ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
এর মধ্যে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত সিসিকের ১২ টি বুথের মাধ্যমে ৪৭২ জন ও পুলিশলাইন্স হাসপাতালে স্থাপিত ২ টি বুথে মিলে ৪০ জন টিকা নেন। তবে যেহেতু প্রথম দিনের টিকাদান কার্যক্রম সবেমাত্র শেষ হয়েছে সে ক্ষেত্রে টিকা গ্রহিতার সংখ্যা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ডা. জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে দেশব্যাপী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় এমএজি ওসমানী হাসপাতালে টিকা দানের মধ্য দিয়ে সিলেটের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়। সিলেটে টিকা কার্যক্রম শুরুর আগে নগরীর কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এসময় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত কেন্দ্রের ১০, ১১ ও ৪ নং বুথে চারজনের টিকাদানের মাধ্যমে সিলেটে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়। টিকাদান পর্বে সিলেটে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি।
পরে ক্রমান্বয়ে টিকা নেন সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ।
এছাড়া করোনাযুদ্ধের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মধ্যে, নার্স, ডাক্তার, পুলিশ, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, পুলিশ, ও অগ্রাধিকার তালিকার নিবন্ধন করা নাগরিকরা সহ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃতি ফুটবলার রঞ্জিত দাস সস্ত্রীক টিকা নেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতায় করোনার টিকাদানের জন্য স্থাপিত মোট ১৪ টি বুথের মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেদ্রের ১২ বুথ ও সিলেট বিভাগীয় পুলিশলাইন্স হাসপাতালে ২ টি বুথ স্থাপণ করে চলে টিকা কার্যক্রম। এ দুইটি কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার জন্য প্রথম দিন অনলাইনে আবেদন করেছিলেন ৭০০ জন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি