সিলেটে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৩ বছর আগে

সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ এলাকায় এমসি কলেজের শিক্ষার্থী এক যুবতী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আত্মহননকারী ওই যুবতীর নাম মৌমিতা দাস পপি (২৬)। তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার কায়স্থঘাট গ্রামের রাজকুমার দাসের মেয়ে।

বর্তমানে তিনি নগরীর শিবগঞ্জের হাতিমবাগ এলাকার ১ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসার বাসিন্দা এবং এমসি কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। শনিবার গভীর রাতে নিজের শয়নকক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় মা বাবার সাথে রাতের খাবার খেয়ে নিজের রুমে ঘুমাতে যায় পপি। রোববার সকালে বাবা মা ঘুম থেকে উঠে পপিকে বেডরুমের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর পরিবারের লোকজন শাহপরাণ থানায় বিষয়টি অবগত করলে দুপুর আড়াইটায় এসআই লিপটনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

নিহতের মা বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, পপি অসুস্থ ছিলো। কি কারণে সে আত্মহত্যা করলো আমরা তা জানি না।

পপির চাচাতো ভাই রানা দাস জানান, বেশ কয়েকবছর ধরেই মৌমিতা দাস পপি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলো। গত ১৫ দিন আগে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে সে। পরে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর সপ্তাহখানেক আগে ধোপাদিঘীরপার এলাকায় মায়া ফার্মেসীতে অসুস্থ পপিকে নিয়ে আসা হলে সেখানকার ডাক্তার তার মা বাবাকে জানান, পপির হাত পা অবশ হতে শুরু করেছে। পরবর্তীতে প্যারালাইসিস হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কথা শুনে ফেলে পপি। এরপর থেকেই বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করে সে। আত্মহত্যার পর তার রুম থেকে একটি চিঠি উদ্ধার পাওয়া গেছে। সেই চিঠিতে লিখা রয়েছে, ‘আমি পঙ্গু হয়ে বাঁচতে চাই না।’

এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমার পুলিশ বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেলের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি