সব
বাসা-বাড়িতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পানির লাইন আছে, কিন্তু নেই অনুমোদন। বছরের পর বছর পানি ব্যবহার করছেন কিন্তু পানির বিল দেননি কোনোদিন। বাড়িতে নলকূপ আছে, কিন্তু নেননি সিসিকের অনুমোদন। এমন অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে সিসিক’র অভিযানে। অভিযানে অবৈধ পানির সংযোগ চিহ্নিত করে জরিমানাসহ বিল পরিশোধের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সিসিক’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী আকবরের নেতৃত্বে অভিযানে অবৈধ পানি সংযোগসহ অনুমোদনহীন নলকূপ চিহ্নিত করা হয়।
নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাছিমপুর এলাকায় অভিযানকালে ২৯টি বাসা-বাড়িতে অবৈধ পানির সংযোগ চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে আছে ৪টি অবৈধ নলকূপ এবং ২৫টি অবৈধ পানির সংযোগ।
অভিযানে দেখা যায়, বাসা-বাড়িতে বেআইনিভাবে পানির সংযোগ নিয়েছেন কিন্তু সিসিকের অনুমোদনের তোয়াক্কা করেননি বাড়ি মালিকগণ। দীর্ঘদিন ধরে এমনটি করে এলেও নিজ উদ্যোগে অনুমোদন নেওয়া কিংবা পানির বিল দেননি তারা।
নগরীর মাছিমপুর এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নাগরিক চাহিদা বিবেবচনায় ২৫টি বাসা-বাড়িতে পাওয়া অবৈধ পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সিসিক’র অনুমোদন ও জরিমানাসহ বকেয়া ফি পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। অভিযানকালে সময় বেঁধে দিয়ে জরিমানা ও বিলের কপি হস্তান্তর করা হয় তাদের কাছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানাসহ বকেয়া বিল ব্যংকের মাধ্যমে জমা না দিলে এসব সংযোগ বিচ্ছন্ন করা হবে।
এ সময় সিসিকের সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমানসহ পানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পানির বকেয়া বিল আদায়, অবৈধ পানির সংযোগ চিহ্নিতকরণ ও অনুমোদনহীন নলকূপ চিহ্নিতকরণে সিলেট সিটি করপোরেশনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি