সব
সিলেট নগরীর সিটি পয়েন্টে নবনির্মিত চত্বরের নামকরণ নিয়ে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতিতে ফাটল ধরিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
সোমবার এক বিবৃতিতে আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, সিলেটের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা সারা দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত এবং স্বীকৃত। যার সুফল ভোগ করছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বিএনপি থেকে নির্বাচিত মেয়র হলেও অত্যন্ত দাপটের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যার মূল কারণ হচ্ছে সরকার ও সিলেটের সরকারদলীয় নেতাদের উদার মনোভাব। যা দেশের অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
তিনি বলেন, নগরবাসীর প্রত্যাশা ছিল মেয়র আরিফ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিতভাবে সিলেটের উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাবেন এবং এই সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবেন। কিন্তু, তিনি যেসব কাজ করছেন সেগুলো কেবলই লোক দেখানে। এর ছোট্ট একটি উদাহরন, জলাবদ্ধতা সিলেট নগরীর দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনে গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ সরকার সিলেটে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু চলমান বর্ষা মৌসুমেও দেখা গেছে, ঘন্টাখানেক বৃষ্টি হলেই নগরীর উল্লেখযোগ্য অংশ ডুবে যায়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীর। তবে সরকারের দেয়া শত শত কোটি টাকার কাজের সুফল কোথায়? নগরবাসীর মনে প্রশ্ন আসে, এসব কাজ কি শুধুই লোক দেখানো? নাকি দায়সারা অপরিকল্পিত কাজের খেসারত, নাকি অন্য কিছু?
বিবৃতিতে আসাদ উদ্দিন আরো বলেন, সকালেই জানেন পূণ্যভুমি সিলেট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির আধ্যাত্মিক নগরী। আমরা আশা করেছিলাম সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজ থেকেই তার পূর্বসূরি সদ্য প্রয়াত সিলেটের প্রথম মেয়র জননেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ নেবেন। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সামনের পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ নামকরণের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। সিলেটের সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ এমন দাবি উত্থাপন করেন। যা মেয়র সাহেবও অবগত ছিলেন। সেসময় তিনি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ এবং সিলেটের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিতের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থাগ্রহণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু গত রবিবার রাতে অনেকটা চুপিসারে এই চত্বরকে ‘নগর চত্বর’ নামকরণ করে সেটির উদ্বোধন করেন। যেটি সম্পর্কে সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান নির্বাচিত পরিষদকেও অবগত করেননি। তাড়াহুড়া করে এই চত্বরকে ‘কামরান চত্বর’ নামকরণ না করে ভিন্ননামে উদ্বোধন করে তিনি সিলেটের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য রাজনৈতিক সম্প্রীতিতে ফাটল ধরালেন।
সেই সাথে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সভায় সিটি পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ নামকরণের বিষয়টি বিবেচনায় এনে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচিত পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহবান জানান আসাদ উদ্দিন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি