সব
সিলেটের জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় উৎসবের ভোট চলছে।
কঠোর নিরাপত্তা থাকায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে ভোটারদের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতীতের তুলানায় এবারই এই দুটি পৌরসভায় ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। ভোটগ্রহণের শুরুতেই প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের রেকর্ডসংখ্যক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন ও গ্রহণযোগ্য করতে দুটি পৌরসভায় ৯জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ২জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও দুটি পৌরসভায় ২ প্লাটুন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১০জন করে পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন। আর পুলিশের সাথে ভোটকেন্দ্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন আনসার সদস্যরা। সেই সাথে ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আছেন শতাধিক গোয়েন্দা পুলিশ ও মোবাইল টিম। ভোটকেন্দ্রে পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ ঠেকাতে সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে। সেই সাথে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি নিরাপত্তায় রয়েছে ।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় এবার ৪জন মেয়র প্রার্থী । এরমধ্যে আওয়ামী লীগের রুহেল আহমদ (নৌকা) ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল (জগ), সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহামদ পাপলু (মোবাইল ফোন) ও ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় রাবেল ও পাপলুকে বহিষ্কার করা হয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে। এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন ও সংরক্ষিত আসনে লড়ছেন ১০ নারী প্রার্থী।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ২২ হাজার ৯শ ১৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৬শ ৯৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১১হাজার ৩শ ১৯ জন।
অপরদিকে, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র ইকবাল আহমদ তাপাদার (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি প্রার্থী আব্দুল মালেক ফারুক (লাঙ্গল), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদ (জগ) ও আব্দুল আহাদ (নারিকেল গাছ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল-মামুন হীরা (চামচ), আল-ইসলাহের প্রার্থী হিফজুর রহমান (মোবাইল ফোন) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরুল ইসলাম (হ্যাঙ্গার)। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করা হয়েছে ফারুক আহমদ ও আব্দুল আহাদকে।
এবার জকিগঞ্জ পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত আসনে ৯ জন নারী প্রার্থী লড়ছেন। জকিগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটার ১২ হাজার ৩৪৫ জন। পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৩ জন ও মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৩৪২ জন। ভোটকেন্দ্র ৯টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৩টি।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) লুৎফর রহমান জানান, সিলেটের জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। কেউ কোন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে সাথে সাথে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। সেই সাথে ভোটকেন্দ্রে গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি