সব
দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ২১ জেলায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ এখন পানিবন্দী। আগস্ট পর্যন্ত বন্যার পানি থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। ইতিমধ্যে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে বিপদ হয়ে হাজির হয়েছে রোগবালাই। শুধু রোগবালাই নয় বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের প্রায় ১১ হাজার বিদ্যালয় ভবন, বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরাও।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলো যৌথভাবে দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বন্যায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০২টি বিদ্যালয় ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় ভেসে গেছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ। সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে রংপুর বিভাগে। উত্তরাঞ্চলের এই বিভাগে মোট ৭৬২টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। দির্ঘদীন বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খুব একটা হয়নি। বন্যার সময়ে ভবনগুলো রক্ষার জন্য বরাদ্দও ছিল সীমিত। আবার শিক্ষার্থীদেরকেও এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করা হয়নি।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয় ভবন প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী দুটি বড় স্কুর ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ভবনগুলোর তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এসব ভবনকে দ্রুত কীভাবে মেরামত ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায়, সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপকরণ ভেসে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের সহায়তা দিতে হবে।’
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি