সব
সারাদেশে বজ্রপাতে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রামে চারজন, সিরাজগঞ্জে পাঁচজন, ফেনীতে দুজন, পটুয়াখালীতে দুজন, সাতক্ষীরায় দুজন এবং মাদারীপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, বরিশাল ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকেলে ৬টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের মিরসরাই ও বোয়ালখালীতে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। একইদিনে ফটিকছড়িতে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে এ বজ্রপাতের ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলেন বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের গরজংগিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা কামালের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩৯), মিরসরাইয়ের সাহেরখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর পূর্ব ডোমখালী ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা স্কুলছাত্র সাজ্জাদ হোসেন (১৬), যোগেন্দ্র শীলের স্ত্রী ভানুমতি শীল (৪০) ও বানেশ্বর দাশের স্ত্রী লাকি রানি দাশ (৩৮)।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে এক ঘণ্টার মধ্যে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ও উধুনিয়া, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ও নরিনা ইউনিয়ন এবং বেলকুচি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চর আঙ্গারু গ্রামের আমানত হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৬), নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া গ্রামের আলহাজ বাবুর্চি (৫০), সলঙ্গা ইউনিয়নের আঙ্গারু বাঘমারা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪৫), উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের আগদিঘল গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে স্কুলছাত্র ফরিদুল ইসলাম (১৫) ও বেলকুচি উপজেলার চর সমেশপুর গ্রামের লাইলি বেগম।
ফেনী
জেলার সোনাগাজীতে বজ্রপাতে দুই শিশু নিহত হয়েছে। বেলা ১১টায় উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সাজেদা আক্তার (১২) ও আল আমীন (৬)। সাজেদা ওই গ্রামের আনু ফরায়েজি বাড়ির সোলেমান মিয়ার মেয়ে ও আল আমীন একই বাড়ির বাহার উদ্দিনের ছেলে। তারা দুজনই স্থানীয় কাটাখিলা ছমদিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালী সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম তাড়াবুনিয়া গ্রামে আব্দুল জলিল ও সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামে মজিদ হাওলাদার বজ্রপাতে মারা যান।
সাতক্ষীরা
বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া ও তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নে হরিণখোলা গ্রামে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও তিনজন।
মৃতরা হলেন- হরিণখোলা গ্রামের আশুতোষ মন্ডলের ছেলে কিশোর মন্ডল (৩৮) ও চৌবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন (২০)। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
মাদারীপুর
জেলার শিবচরে বাদাম তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে আয়েশা বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত হন। বিকেল ৪টায় উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের বালুরটেকে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত আয়েশা একই এলাকার ছোরফান হাওলাদারের স্ত্রী।
নোয়াখালী
জেলার হাতিয়ায় ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মো. আবদুল মান্নান খোকন (৩৬) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। দুপুর সাড়ে ৩টায় উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মাইসচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমদ মুন্সীর ছেলে।
মুন্সিগঞ্জ
জেলার সিরাজদিখানে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে অপূর্ব বর্মন (১৯) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। বিকেল ৪টায় উপজেলার শেখরননগর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহত অপূর্ব উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের জেলেপাড়া গ্রামের স্বপন বর্মনের ছেলে ও আলী আজগর অ্যান্ড আব্দুল্লাহ কলেজের এইচএসসির পরীক্ষার্থী।
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বজ্রপাতে মো.শাহীন হোসেন (১৮) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘিওর উপজেলার বৈলট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহীন হোসেন ঘিওর সদর ইউনিয়নের মুক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি শিবালয়ের মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।
বরিশাল
বিকেল বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রামে বজ্রপাতে নান্টু বালী (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার ইউনুস বালীর ছেলে ।
চুয়াডাঙ্গা
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইথনপুর গ্রামের দক্ষিণ মাঠে বজ্রপাতে কোরবান আলী (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই উপজেলার রুইথনপুর গ্রামের মৃত ফকির আলীর ছেলে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি