সব
৮০’র দশকের সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান খান সুজা,সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩নং ফুলবাড়ি ইউনিয়ন কিছমত মাইজভাগের মৃত মকদ্দছ আলী খানের সুযোগ্য পুত্র।মামা মরহুম আব্দুর রহিম ৭১’র পরবর্তী গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি এবং তৎকালিক সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক একজন কর্মী সেই সুবাদে এবং পারিবারিক ভাবে আব্দুর রহমান খান সুজা’র শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নিজেকে সম্পৃক্ত করা।১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের সকল সদস্য কে হত্যার পর যখন সারা বাংলাদেশ উত্তপ্ত।বিদেশে থাকার কারনে বেঁচে থাকা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কে তখন দেশে আসা নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।সারা বাংলাদেশে তখন বিভন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে লিপ্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।১৯৮০ সালে মদন মহন কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শাখায় ভর্তি হোক আব্দুর রহমান খান সুজা ৭৫’র পরবর্তী সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ,আসাদ উদ্দিন আহমদ,জাকির হোসেন,কাজী কয়েছ,এটিএম ফয়েজের সান্নিধ্যে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত করেন নিজেকে।নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগের নেতা কর্মী প্রিয় নেত্রীকে হৃদয়ে উচ্চাশ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাগত জানান।দেশের মাটিতে পা দিয়ে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি; বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে আমার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ তার আগমন উপলক্ষে স্বাধীনতার অমর স্লোগান ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত ছিল ঢাকার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম- পিতৃ হত্যার বদলা নেবো’।
এই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অভিযাত্রা…..
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রাক্কালে ১৯৮১ সালের প্রথম দিকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোনীত করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।স্বদেশে ফিরে আওয়ামী লীগ কে সুসংগঠিত করতে চষিয়ে বেড়ান ৬৪টি জেলা ও উপজেলার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা তখন প্রিয় নেত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ব্যস্ত।
১৯৮২ সালের ২৮শে মে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রথম সিলেট সফরে আসলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা শাখা ও বিভিন্ন কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বরণ করেন শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় প্রিয় নেত্রী কে।সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম’র বাসভবনে শেখ হাসিনা’র সাথে সাক্ষাৎ করেন তখন মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আব্দুর রহমান খাঁন সুজা সেই সুবাদে খুব কাছে থেকে প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সান্নিধ্য লাভ করেন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন লক্ষ্যে এবং প্রিয় নেত্রীর সান্নিধ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে জড়িয়ে পড়েন রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে শুরু হয় অবিরাম পথচলা।আব্দুর রহমান খান সুজা একজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক তাই সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখতেন এবং ভালো খেলোয়াড় গড়ে তুলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতেন। ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান লেঃ জেঃ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন ।শুরু হয় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হওয়ার পর জীবনের তাগিদে আব্দুর রহমান খান সুজা পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে।সেখানে গিয়েও থেমে থাকেননি নাড়ীর ঠানে মাটির ঠানে সম্পৃক্ত করেন নিজেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে।বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ,লন্ডন মহানগর শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।যুক্তরাজ্যে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলার পর আব্দুর রহমান খান সুজা’র ভাবনায় আসে দেশের জন্যে এলাকাবাসীর জন্যে কিছু করার।তাই বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করলেন এম,খান ফাউন্ডেশন,(ইউ,কে)।প্রতিবছর এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মেধাতালিকায় বৃত্তি প্রদান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।নিজ উপজেলা গোলাপগঞ্জ সোসিয়েল ট্রাষ্ট ইউ,কে প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছেন।একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে গড়ে তুলেন ইয়থ ক্যারাম এসোসিয়েশন যার মাধ্যমে গ্রেট ব্রিটেন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ক্রীড়া জগতে যুব সমাজকে আকৃষ্ট করে মাদকাসক্তি নির্মূল ও সামাজিক অবক্ষয় রুধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছেন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র ভিশন বাস্তবায়ন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের করার লক্ষ্যে বছরে অর্ধেক সময় পার করেন প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে।একজন দক্ষতা সম্পূর্ণ সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা তথা বৃহত্তর সিলেটে রয়েছে আব্দুর রহমান খান সুজা’র সুনাম ও খ্যাতি।গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩নং ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের সামাজিক রাজনৈতিক ক্রীড়া সংগঠন ও এলাকার মুরব্বীয়ান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালক বৃন্দের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন-আব্দুর রহমান খান সুজা একজন সুদক্ষ সামাজিক সংগঠক শিক্ষানুরাগী এবং খাঁটি দেশপ্রেমিক লোক, যিনি আর্থ মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রায় দুই যুগ ধরে| বৈশ্বিক এই মহামারি করোনা কালীন সময়ে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন যা এলাকায় বেশ প্রশংসিত হয়েছে|
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি