সব
ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার সাংবাদিক কাজলের শারীরিক অবস্থা গুরুতর অবনতি হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানায় আসক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আদালত কাজলের যথাযথ চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও কর্তৃপক্ষ এখনও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছে। পাশাপাশি আসক দ্রুততার সাথে কাজলকে মুক্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।
গণমাধ্যম ও কাজলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কাজলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। বাম হাত প্যারালাইজড হয়ে আছে। বাম হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছেন না। তার ঘন ঘন বমি ও রক্তবমি হচ্ছে। আদালতের কাছে কাজলের আইনজীবি উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করলে আদালত সে আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথ চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
কিন্তু জানা গেছে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কাজল এখনও কারাগারে রয়েছেন।
কাজলের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলার মাহবুবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অবশ্যই কাজলের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে, খারাপ থাকলে তাকে তিনি হাসপাতালেই থাকতেন।’
এ বছরের মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলা হওয়ার একদিন পর নিখোঁজ হন সাংবাদিক কাজল। ৫৩ দিন পর নিখোঁজ থাকার পর ২ মে তাকে অবৈধভাবে অণুপ্রবেশের অভিযোগে বেনাপোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন অভিযোগে, সর্বশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আওতায় দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
করোনার এ সংকটাপূর্ণ সময়ে এমন বিতর্কিত আইনের অধীনে দায়েরকৃত মামলায় তাকে প্রায় তিনমাস ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া সত্বেও তা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না, যা গণমাধ্যমে দেয়া জেলারের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আসক জরুরি ভিত্তিতে কাজলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার এবং তাকে দ্রুততার সাথে মুক্তিপ্রদান করার দাবি জানিয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি