সব
সিলেটে ইনোভেটর নির্বাচিত গ্রন্থতালিকা উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ভালো বই বন্ধুর মতো। সেক্ষেত্রে পড়ার জন্য উপযুক্ত বই নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে ইতিহাস আশ্রয়ী বইগুলো খুব সতর্কতার সাথে না বাছাই করলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং পাঠরুচি বিকৃত হয়।
তারা বলেন, উৎসুক পাঠক এবং জ্ঞান অনুশীলনে আগ্রহীদের বই নির্বাচনে সহযোগিতার জন্যই এই নির্বাচিত গ্রন্থতালিকা।
বক্তারা উল্লেখ করেন, গ্রন্থতালিকা প্রণয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে এতে যোজন বিয়োজন হবে। তারা একটি সহনশীল ও মানবিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে পরিবার থেকেই পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমি মিলনায়তনে এ উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাঠ উন্মোচন করেন ইনোভেটর এর মুখ্য সঞ্চালক এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। অনুষ্ঠানে গ্রন্থতালিকা প্রণয়নের গুরুত্ব এবং বইপড়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইনোভেটর এর নির্বাহী সঞ্চালক এবং গ্রন্থতালিকার সম্পাদক প্রণবকান্তি দেব।
ইনোভেটর এর সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম অনি’র উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মনজু, ইনোভেটর এর প্রধান সমন্বয়ক প্রভাষক সুমন রায়, অনলাইন বইপড়া প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক সুমিতা দাস, ঈশিতা ঘোষ চৌধুরী ও নিহাম মতিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, তাসনিমা সাজনীন প্লপা, সৈয়দা আছিয়া খাতুন, সানী আহমেদ রিফাত ও প্রসেনজিৎ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর ‘ ইনোভেটর নির্বাচিত গ্রন্থতালিকা’র ই কপি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। পুরো তালিকাটি ইনোভেটর বইপড়া উৎসবের ফেইসবুক পেইজে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে তরুণ প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াসে ‘পাঠঋদ্ধ জীবনের খোঁজে ‘ শ্লোগান নিয়ে কাজ করছে ইনোভেটর। ডিসেম্বরে বইপড়া উৎসবের পাশাপাশি সারাবছর বই নিয়ে পাঠচক্র, সেমিনার, অনলাইন বইপড়া প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজন করছে নিয়মিত।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি