সব
নানা অভিযোগ আর দাবির মুখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত এক আদেশে জহির উদ্দিনের বদলে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অবশ্য এই আদেশে বদলির কারণ হিসেবে জহির উদ্দিনের অসুস্থতার কথা জানানো হয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পাশপাশি ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং প্রক্টরেরও পদত্যাগেদর দাবি জানিয়েছেন তারা।
ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে রাখেন। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কোন ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড করতেও বাধা দেন। এবং ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখলে জহির উদ্দিনের নির্দেশেই পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ অনেকের।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জহির উদ্দিনকে ২০১৭ সালে প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত বছর তিনি ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান।
রোববার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তাকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
একই সাথে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়ার আগ পর্যন্ত ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক হিসেবে নিয়ােগ প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধিমােতাবেক ভাতাসহ অন্যান্য সুযােগ সুবিধা পাবেন এবং এ আদেশ তার যােগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে রেজিস্ট্রার প্রেরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়রি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন ছাত্রীরা। ১৬ জানুয়রি তারা দািব আদায়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওইদিন সন্ধ্যায়ই পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে। এরপর থেকে উপাচার্য, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালককে সরানো হলেও উপাচার্য ও প্রক্টরের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
এ ব্যাপারে শাবি রেজিস্টার মো. ইশফাকুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে এই বদলি। এতে অন্য কোন কারণ নেই।
এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি