সব
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো সিলেটেও করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকাদান শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে দেশব্যাপি এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় এমএজি ওসমানী হাসপাতালে টিকাদানের মধ্য দিয়ে সিলেটের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর আগে সিলেট মেট্রোপলিটন সিটির কোভিড ১৯ টিকাদান কেন্দ্রর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অথির বক্তব্য রাখে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত কেন্দ্রের ১০, ১১ ও ৪ নং বুথে চারজনের টিকাদানের মাধ্যমে সিলেটে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়। টিকাদান পর্বে সিলেটে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি।
পরে ক্রমান্বয়ে টিকা নেন সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ।
এছাড়া করোনাযুদ্ধের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মধ্যে, নার্স, ডাক্তার, পুলিশ, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, পুলিশ ও অগ্রাধিকার তালিকার নিবন্ধন করা নাগরিকরা সহ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃতি ফুটবলার রঞ্জিত দাস স্বস্ত্রীক টিকা নেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেদ্রের ১২ বুথের টিকাদান কারর্যক্রম পরিদর্শন শেষে ‘কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য গঠিত সিলেট সিটি কর্পোরেশন কমিটি’র সভাপতি ও সিলেট সিটি করর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা সফলভাবে কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছি। ভ্যাকসিন নিয়ে কারো মনে ভয় সংশয় থাকার কোন কারণ নেই। করোনাযুদ্ধে প্রথম সারিরযোদ্ধারা এরই মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে উৎসাহমুলক বক্তব্য শুনেছি। ফলে সবাইকে নির্ভয়ে টিকা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
মেয়র বলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সিসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃতি ফুটবলার রঞ্জিত দাস স্বপরিবারে টিকা নিয়েছেন। আমরা তাদের সাথে টিকা নেয়ার পর কথা বলেছি। তারা সবাই ভালো আছেন। এবং সকলেই শারিরিক ও মানসিকভাবে ভালো রয়েছেন।
একই সময়ে সিলেট পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে টিকা দান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যুগ্ম সচিব বিধায়ক রা চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকার দুটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমান স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। জাতীয় এই কার্যক্রমকে সফলভাবে পরিচালনার জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন সর্বাত্মক প্রিস্তুতি নিয়েছে। সহযোগিতা করছেন সিলেটের সরকারী সকল সংস্থা ও বিভাগ। টিকা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন।
সিলেট নগরে প্রথম দিনে দুটি কেন্দ্রে ৭০০ জনকে টিকা প্রদানের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের মোবাইলে টিকা গ্রহণের জন্য বার্তা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে দুটি কেন্দ্রে টিকাদান চলবে। প্রতিদিন ১৮০০ জন নাগরিককে টিকা দানের সক্ষমতা রয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি