সবজি চাষ : প্রণোদনা পাচ্ছেন সিলেটসহ ৩৭ জেলার কৃষকরা

সিলেট ডায়রি ডেস্ক ;
  • প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০, ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যাদুর্গত সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ ৩৭ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে শাক-সবজির বীজ বিতরণের জন্য ১০ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৫ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। এজন্য ৩৭ জেলার জেলা প্রশাসক ও কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির অনুকূলে প্রণোদনার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলার কৃষকরা এই প্রণোদনা পাবেন।

এ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমেয়াদি সবজি হিসেবে লালশাক, ডাঁটাশাক কলমিশাক, মুলাশাক, পুঁইশাক, পালংশাক ও পাটশাকের বীজ কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। মধ্যমেয়াদি সবজি হিসেবে শসা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, মরিচ, বরবটি ও শিমের বীজ বিতরণ করা হবে। শিম বীজ স্বল্পকালীন এবং অন্যান্য সব সবজির বীজ হাইব্রিড হবে।

এ কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত একটি কৃষক পরিবার ৫০ গ্রাম লালশাক, ৫০ গ্রাম ডাঁটাশাক, ৫০ গ্রাম কলমিশাক, ১০০ গ্রাম মুলাশাক, ৫০ গ্রাম পুঁইশাক, ১০০ গ্রাম পালংশাক, ৫০ গ্রাম পাটশাক, ৩ গ্রাম শসা (হাইব্রিড), ৫ গ্রাম হাইব্রিড লাউ, ৫ গ্রাম হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া, ১০ গ্রাম হাইব্রিড করলা, ২ গ্রাম হাইব্রিড মরিচ, ১০ গ্রাম হাইব্রিড বরবটি এবং ৫০ গ্রাম শিমের বীজ পাবেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রণোদনা কর্মসূচির জন্য মনোনীত প্রত্যেক কৃষকের স্ট্যাম্প সাইজের ছবিযুক্ত কৃষক উপকরণ কার্ডের ভর্তুকি অংশে যথাযথভাবে উপকরণের পরিমাণ লিপিবদ্ধ ও মাস্টাররোল সংরক্ষণ করে উপকরণ বিতরণ করবেন। কোনো কৃষকের উপকরণ কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে মাস্টাররোলে কৃষকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (যদি থাকে), স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সংযুক্ত করে মাস্টাররোলে সংরক্ষণ করতে হবে।

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ২৬ জুন থেকে বন্যা শুরু হয়। এরপর পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হওয়ার পর ১১ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়ে। সর্বশেষ ২১ জুলাই থেকে তৃতীয় দফায় পানি বাড়ার পর এখন বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি