সব
সিলেটের সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতিবন্ধকতা দূর করে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট’র আয়োজনে বিকেলে (মঙ্গলবার) জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। সভায় সিলেটের সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সিলেটের সাংস্কৃতিক চর্চার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। এটিকে ধরে রাখার জন্য সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় যেকোন প্রতিবন্ধকতা অবশ্যই দূর করতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতিকর্মীদের পক্ষ থেকে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট’র সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত সিলেটে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, শিশু একাডেমি কমপ্লেক্স নির্মাণ, ঐতিহ্যবাহী সারদা হল থেকে সিসিকের সকল গাড়ি ও সকল কিছু সরিয়ে উন্মুক্ত করে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে রূপান্তর এবং কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার উপযুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলেন।
দাবিগুলো শোনে খোলামেলা আলোচনা করেন এবং সংস্কৃতিকর্মীদের দাবিগুলো পূরণে আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের সংস্কার অতিব জরুরী। একই সাথে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সারদা স্মৃতি ভবন সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে সংস্কৃতি চর্চার জন্য প্রস্তুত করারও প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সংস্কৃতিবান্ধব এবং উন্নয়নমুখী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি সিলেটের সংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে এই ধারা অব্যাহত রাখতে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. দেওয়ান মো. শাহরিয়ার ফিরোজ, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সত্যজিত রায় দাস, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ, সিলেট’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও জেলা পরিষদ, সিলেট’র প্রকৌশলী হাসিব আহমদ।
এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাংস্কৃতিক সংগঠকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারন সম্পাদক নিলাঞ্জনা যুঁই।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী রানা কুমার সিনহা, আবৃত্তিশিল্পী মোকাদ্দেছ বাবুল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল-আজাদ, নাট্যজন অরিন্দম দত্ত চন্দন, এনায়েত হাসান মানিক, নিরঞ্জন দে যাদু, শামসুল বাছিত শেরো, বিভাষ শ্যাম যাদন, উত্তম সিংহ রতন, আমিরুল ইসলাম বাবু, খোয়াজ রহিম সবুজ, নিলাঞ্জন দাস টুকু, সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, কবি ও গবেষক সুমনকুমার দাস, এডভোকেট বিপ্রদাস ভট্টাচার্য্য, প্রতিক এন্দ টনি, অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, বাউলশিল্পী সূর্যলাল দাস, বাউলশিল্পী বশির উদ্দিন, নাট্য সংগঠক উজ্জল দাস, দিগেন সিংহ, ইনোভেটর সমন্বয়ক প্রণব কান্তি দেব, নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠক জগদীপ দাশ তনু, খোকন ফকির, আশরাফুল ইসলাম অনি, ফারজানা সুমি, দিবাকর সরকার শেখর প্রমুখ।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি