সব
শ্রীমঙ্গলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার দাবীতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ টার সময় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্তরে স্টুডেন্ট প্রবীর দেববর্মার সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকল স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানানো হয়।
শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যায়ের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। স্টুডেন্ট যুবরাজ দেববর্মার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক জলি পাল, এডভোকেট আবুল হাসান, মানবাধিকার কর্মী এস কে দাশ সুমন, সমাজকর্মী তাপস দাশ, পরিবেশ কর্মী প্রীতম দাশ, শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন, শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার, শিক্ষার্থী স্বাধীন দেব, কলেজ শিক্ষার্থী রুপা রায়, শিক্ষার্থী আলী আজাদ ও সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন মওকুফ, করোনাকালীন বছরগুলোকে লুপ্ত বছর ঘোষনা করে চাকুরি প্রত্যাশীদের বয়সসীমা বাড়ানো ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবী জানানো হয়। বক্তব্য শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমরা পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে পড়ছি। আমাদের মতো স্টুডেন্টরা টিউশনি করে সংসার চালাতে হয়। আজ করোনার কারণে সব বন্ধ থাকায় আমরা টিউশনি করাতে পারছি না। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আজ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়ে কি করবো যদি ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষা না নেওয়া হয়। আজ আমাদের শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করাতে পারছে না, কলেজে ক্লাস করাতে পারছে। যদিও তারা ক্লাস করায় তাহলে তাদেরকে জরিমানা দিয়ে বরখাস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাহীন প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাই যাতে সকল স্বাস্থ্যবিধি মনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পেশ করা হয়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি