শ্রীমঙ্গলে পিপিই ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেছে কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল ;
  • প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২০, ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নিরাপত্তামূলক পোশাক পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী  দিয়েছে কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল। মধ্য ও দক্ষিণ  বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প জাগছড়ার বাস্তবায়নে ও কমপ্যাশন ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় এ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার  ডা.মো.আবু নাহিদের হাতে পিপিই হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কম্প্যাশন প্রতিনিধি মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের জাগছড়া এলসিসি সভাপতি পালক রেভা: স্বপন হেমব্রম, জাগছড়া প্রকল্প ব্যবস্থাপক লুকাস রেংসাই, জাগছড়া প্রকল্প কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রদানকৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৫টি উন্নত মানের পিপিই, ১৫টি সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৫ জোড়া সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, ১৫জোড়া সু কাভার রয়েছে। বিতরণী শেষে প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কার্যালয়ের জন্য ৫টি স্বারক তুলে দেন প্রকল্পের সভাপতি স্বপন হেমব্রম। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কম্প্যাশনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং প্রকল্প কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

কম্প্যাশন প্রতিনিধি মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের জাগছড়া এলসিসি সভাপতি পালক রেভা. স্বপন হেমব্রম বলেন, কম্প্যাশন প্রকল্পের মাধ্যমে সব সময় দারিদ্রতা থেকে শিশুদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সারা দেশে কাজ করছে এবং দেশ ও দশের সেবা দিয়ে আসছে। এই পিপিই বিতরণের মাধ্যমে আমরা কিছুটা হলেও কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হতে পেরেছি। কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল দেশজুড়ে অপুষ্টি হ্রাস, শিশু সুরক্ষা এবং যুব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উন্নতি সাধনে তাদের উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।

কোভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাবের এই পরিস্থিতিতে, কোভিড ১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল সহায়তা করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। অন্যান্য এনজিওগুলোর মত, এই সংস্থাটি এদেশের করোনা অবস্থার উন্নতি ও সরকারী হাসপাতালের বীর সাহসী সম্মুখ সারির কর্মীদের সহায়তা করার চেষ্টা করছে। একই সাথে এই আইএনজিও ফিল্ড অফিসের মাধ্যমে অনেক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও বাস্তবায়ন করছে এবং এই অনিশ্চিত সময়ে তাদের প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় দরিদ্র নিবন্ধিত শিশুদের ও পরিবারগুলোকে ত্রাণ সরবরাহ করছে।

কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শিশুদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। যে সকল শিশু ও তাদের পরিবার চরম দারিদ্র, নিরক্ষরতা, অপুষ্টি এবং বঞ্চনার সাথে লড়াই করছেন তাদের সহায়তা করে থাকে। এই সংস্থাটির উদ্দেশ্য হল- দারিদ্রতা থেকে শিশুদের মুক্তি নিশ্চিত করা; যা শিশুদের সামাজিক, নৈতিক, শারীরিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই সামগ্রিক উন্নয়ন সাধনের এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে করা সম্ভব। কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল ২০০৪ সাল থেকে পার্টনারশীপের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই সংস্থাটির সারা দেশে প্রায় ৩৮৩৩২ জন নিবন্ধিত শিশু রয়েছে এবং বাংলাদেশের ৩৮টি জেলায় ১৭৪টি প্রকল্প রয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি