সব
পটকা মাছ বা Puffer Fish জাপানে ফুগো মাছ বলে পরিচিত এই মাছ। এটি আসলে বিষাক্ত জলজ প্রাণী বা মাছ। এ মাছে রয়েছে ক্ষতিকারক টিটিএক্স (TTX) বা টেট্রোডোটোক্সিন (Tetrodotoxin) বিষ। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে পটকা মাছের প্রজাতি পাওয়া যায়, তার বৈজ্ঞানিক নাম Tetraodon Cutcutia, ইংরেজিতে এ প্রজাতিকে Ocellated Pufferfish বলে। মাছটিকে স্থানীয়ভাবে টেপা বা ফোটকা মাছও বলা হয়।
এই বিষাক্ত মাছ পটকা বাংলাদেশের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব জায়গায় এ মাছ পাওয়া যায়। এই পটকা মাছ খেয়ে প্রতিবছরই মানুষ মারা যাওয়ারও খবর পাওয়া যায়। গবেষণায় প্রমাণিত এ মাছটিতে যে পরিমাণ বিষ থাকে যে, এই একটি মাছ খেয়ে মারা যেতে পারে অন্তত ৩০ জন মানুষ। জাপানে পটকা মাছ খুবই জনপ্রিয়। তবে তারা রান্না করার আগে এ মাছ থেকে বিশেষভাবে বিষ আলাদা করে নেয়। তবে সে প্রযুক্তি এখনো আসেনি বাংলাদেশে। তাই এ মাছের বিষক্রিয়া থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, তা না খাওয়া।
এবার মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের উত্তর ভাড়াউড়া এলাকায় বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন একই পরিবারের দুইজন। মৃত দুইজন সম্পর্কে বউ ও শ্বাশুড়ি। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে একই পরিবারের ৭ বছরের এক শিশু।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া এলাকায় গিয়াস মিয়ার বাড়িতে একটি ঘর তৈরি করে বসবাস করতেন নিহত ফরিদা বেগম ও তার ৩ ছেলে এক ১ পুত্রবধুকে নিয়ে। বুধবার দুপুরে পটকা মাছ নিয়ে এক মাছ বিক্রেতা বাড়িতে গেলে তার কাছ থেকে মাছ ক্রয় করেন। ওই পটকা মাছ রান্না করে দুপুরের খাবার খান শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগম, পুত্রবধু নুরুন নাহার ও ৭ বছরের শিশু সন্তান নায়েম। অপর ২ সন্তান দিনমজুর থাকায় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না।
সন্ধ্যার পর শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগম ও পুত্রবধু নুরুন নাহার অসুস্থতাবোধ করলে রাতে এক পল্লী চিকিৎসককে এনে চিকিৎসা নেন। পরে মধ্য রাতে শ্বাশুড়ি ও পুত্রবধুর মৃত্যু হয়। অসুস্থ ৭ বছরের শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর ফরিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য রান্না করা মাছ জব্ধ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি