শ্রীমঙ্গলে নিশান স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৩:২৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে “নিশান স্বাস্থ্য পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি নামের একটি বেসরকারি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঈনুদ্দিন বেলাল এর বিরুদ্ধে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে উক্ত সোসাইটির ফিল্ড কর্মকর্তা পদ থেকে সদ্য চাকুরী ছেড়ে আসা দুই নারী সুলতানা আক্তার (২০) ও শিল্পী দেব (১৯)।

শনিবার দুপুরে শহরের সাগরদিঘী রোডস্থ শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উক্ত সংস্থার সাবেক দুই নারীকর্মী শিল্পী দেব ও সুলতানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ২১ ডিসেম্বরে ‘নিশান স্বাস্থ্য পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটিতে পি,ও পদে আমরা যোগদান করি। যোগদানের দিন আমরা মূল সনদপত্র এবং ২০ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করি। যোগদানের সময় আমাদের জামানতকৃত টাকা ও মূল সনদপত্র উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদেরকে কর্তৃপক্ষ বলেন, চাকুরী ছাড়ার পর যে কোন প্রয়োজনে মূল সনদপত্রগুলো ফেরত নিতে পারবেন। তারপর চার মাস সংস্থার কাজ করি।

অফিসের কার্যক্রমগুলো সঠিকভাবে না থাকার কারণে আমাদের পরিবারের সাথে আলোচনা করলে পরিবার থেকে আমাদেরকে চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। ঐ সময় সারাবিশ্বে করোনা মহামারী দেখা দেয়। সরকারীভাবে ছুটি ঘোষণা করায় আমরা বাড়ীতে চলে আসি। ঐ মাসে কাজ করার পর আমাদেরকে আসার সময় কোন প্রকার বেতন প্রদান করেনি সংস্থা কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে পরিবার থেকে বলা হয় চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে আমরা লিখিত ভাবে আবেদন করি। এবং কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বাড়ীতে চলে আসি। জানা যায়, এ সংস্থাটি নিয়োগপত্রে উল্লেখিত বেতন প্রদান না করে বিভিন্ন খরচ বাবদ কেটে রেখে গত ২০২০ এর জানুয়ারি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দুজনকে দেওয়া হয়।

শিল্পী দেব ও সুলতানা আক্তার আরো অভিযোগ করেন বলেন, এম. এফ. ডি (মাইক্রোফিন্যান্স ডিরেক্টর) মাসুদ রানা স্যার এর কাছে আমাদের মূল সনদপত্র ও জামানতের টাকা এবং আমাদের মার্চ মাসের বেতন ও লকডাউনে বন্ধকালীন সময়ের বেতন দেওয়ার কথা বললে আমাদেরকে বলেন এগুলো কোন কিছু দেওয়া যাবে না। পরবর্তীতে আমরা অনেকবার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও আমাদের কল রিসিভ করেননি। কিছুদিন পর আমি বাধ্য হয়ে নির্বাহী পরিচালক মঈনুদ্দিন বেলাল স্যারের কাছে মুঠোফোনে আমরা আমাদের মূল সনদপত্র ও জামানত বাবদ দুজনের প্রদেয় টাকা ফেরত চাইলে স্যার আমাদেরকে বলেন মূল সনদপত্র ও টাকা দেওয়া যাবে না। স্যার আরো বলেন, মূল সনদ নিতে গেলে আমাকে ত্রিশ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবী করেন। তাছাড়া সনদ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন এই নির্বাহী পরিচালক। উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে মূল সনদপত্র ও টাকা ফেরত প্রদানে সাংবাদিক ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।

এ বিষয়ে নিশান স্বাস্থ্য পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি নির্বাহী পরিচালক মইনুদ্দিন বেলালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগকারীরা নিয়মানুযায়ী চাকুরী ছেড়ে যায়নি। আর তাদের অফিসের কাছে কোনো পাওনা থাকলে এ ব‍্যাপারে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী, সাংবাদিক এস কে দাশ সুমন, সাজন আহমেদ রানা, শফিকুল ইসলাম রুম্মন, রিয়ন আহমেদ, রুপম আচার্য‍্য, আল ইব্রাহিম ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি