শ্রীমঙ্গলে দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ারের টেষ্টটিউব বেবী কার্যক্রমের যাত্রা শুরু

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ;
  • প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৮:১৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউনসিলিং সেন্টারে সিলেট বিভাগের টেষ্টটিউব বেবী কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো। প্রথম পর্যায়ের দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৯ জন নিঃসন্তান দম্পতিদের নিয়ে টেষ্টটিউব বেবী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ৯ টায় দীপশিখা সেন্টারের কনফারেন্স হলে আয়োজিত মৌলভীবাজার জেলার চিকিৎসক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান দীপশিখা সেন্টারের চীফ কনসালটেন্ট ডা. নিবাস চন্দ্র পাল। তিনি বলেন বিগত ডিসেম্বর মাসে আমরা প্রথম পর্যায়ে সিলেট বিভাগের মধ্যে টেষ্টটিউব পদ্ধতি বা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানের উদ্যোগ গ্রহণ করি যা নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য সামান্য হলে আশার আলো দেখাবে।

তিনি আরো বলেন বিয়ের বিয়ের পর সন্তান জন্মদানে অপারগতায় আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীদের অপারগতা বলেই ধরে নেওয়া হয় কিন্ত আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি নারী পুরুষ উভয়ে সন্তান জন্মদানে অপরিপক্কতার হার প্রায় ৫০ শতাংশ করে। যারা বেশি বয়সে বিয়ে করছেন তাদের ক্ষেত্রে এর হার আরো বেশি হয়ে থাকে। আমরা এখানে উন্নত বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে কাজ শুরু করেছি ভবিষ্যতে যা পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি পাবে।

এই হাসপাতালে রোগীদের জন্য সব ধরনের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে ছয়তলা ভবনটিতে ডাক্তার চেম্বার, ফার্মেসী, প্যাথলজিকাল ল্যাব, এসি – নন এসি কেবিন, হাইড্রো ইলেকট্রিক বেড, ইন্টারকম সার্ভিস, ল্যাপরোস্কোপি মেশিন, ট্রান্সভ্যাজাইনাল সনোগ্রাফি, অক্সি কনসেনট্রেটর মেশিন, পালস অক্সিমিটার, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইনসিনারেটর মেশিন, অটো জেনারেটর, সর্বাধুনিক লিফট, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্য অপারেশন থিয়েটার, খাওয়ার ব্যবস্হা, ঠাণ্ডা-গরম জলের ব্যবস্হা, ওয়াইফাইসহ সকল সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান।

দীপশিখা সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপশিখা ধর জানান ভারতে গিয়ে বন্ধ্যাত্ব রোগের যে চিকিৎসা পাওয়া যায় সেই মানের চিকিৎসা এখন থেকে কম খরচে বাংলাদেশেও সেই সেবা পাবেন রোগিরা। তিনি আরো বলেন টেষ্ট টিউব বেবী, প্রসুতি, স্ত্রীরোগ এবং বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা সেবায় এটি সিলেট বিভাগের প্রথম এবং একমাত্র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। তিনি বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও নার্সিং ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী এবং গাইনি ও প্রসুতিবিদ্যায় বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সেবিকা দ্বারা সার্বক্ষণিক এখানে সেবাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় সফলতার কথা তুলে ধরে দীপশিখা ধর বলেন, ২০১৬ সালে চিকিৎসা গ্রহনকারীর সংখ্যা ছিল ২৮৫ জন। সাফল্য এসেছে ৫৫ জনের। ২০১৭ সালে চিকিৎসা গ্রহনকারীর সংখ্যা ছিল ২৯৯ জন। সাফল্য এসেছে ৮১ জনের। ২০১৮ সালে ৩৩৭ জনের মধ্যে সফলতা পায় ৮০ জন।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি