সব
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় যেমন লক্ষ মানুষ হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলো দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির স্বাদ দিতে তেমনি লক্ষ বীরঙ্গনারা দিয়েছিলো আত্মত্যাগ। সেই আত্মত্যাগী তিন নারী শীলা গুহ, মনোয়ারা বেগম ও মায়া খাতুন। তিনজনই নারী মুক্তিযোদ্ধা। কিন্ত স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ করলেও স্বাধীন দেশে ভাগ্য হয়নি পরিবার নিয়ে সুখে কাটানোর। সহায় সম্বল হারিয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে খুঁজেছেন মাথা গোজার ঠাঁই। তাদের কারো নেই নিজের জমি-ঘর। পরিবার নিয়ে ঘুরেছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সমগ্র দেশের প্রায় ৭০ হাজার ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করেছেন। সেই লক্ষ্যে সরকারী উদ্যোগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার এই তিন নারী বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা পেলেন ঘর।
মুক্তিযোদ্ধার সম্মানার্থে তাদের তিন জনের ঘরের রং করা হয়েছে লাল-সবুজ।
নিজেদের ঘর পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন নারী মুক্তিযোদ্ধা শীলা গুহ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভয়াল মুক্তি যুদ্ধ দেখেছি কত নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে পাক বাহিনী লোকজন অনেক নির্যাতন করেছে। ভয়ে লজ্জায় পালিয়ে বেড়িয়েছি। আমাদের ঘর বাড়ি কিছুই ছিল না। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছি। কষ্টে দিন কাটানোর পর পেলাম প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ঘর। শেষ বয়সে এসে মাথাগোঁজার ঠাই হলো।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহাজিরাবাদে এই তিন নারী মুক্তিযোদ্ধাসহ অত্র উপজেলার ভূমিহীন ১০০ পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। প্রস্তুত শেষে বাকি ঘরগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুযোর্গ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় যুগ্ম সচিব এটিএম কামরুল ইসলাম তালুকদার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, প্রেমসাগর হাজরা, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, জুয়েল আহমেদ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে ৩০০ টি পরিবারকে ২ শতক জায়গার উপরে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আমরা ১০০টি ঘর আজ হস্তান্তর করেছি। বাকিগুলোর কাজ চলছে। দ্রুতই ঘরগুলো কাজ শেষ হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি