সব
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেড় বছর ধরে আটকে রেখে এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক চন্দনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে শ্রীমঙ্গল থানা, জেলা পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে মৌলভীবাজার সদরের জগৎসী গ্রাম থেকে চন্দনকে আটক করা হয়।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের ষ্টেশন রোডের হিরম্ময় প্লাজার তিন তলার একটি বাসা থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় ধর্ষনের শিকার ১৭ বছর বয়সি এক গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ বাসার গৃহিণী সাধনা ধর (৬০) ও পূর্ণা ধর (৩০) নামে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষক চন্দন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাবার পর নেটদুনিয়ায় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এনিয়ে গোটা জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো চন্দনেকে আটকের দাবীতে সরব হয়ে উঠে।
পুলিশের কাছে মেয়েটি অভিযোগ করে, এসএসসি পাশ করার পর আর্থিক দুরাবস্থার কারণে গত দেড় বছর আগে তার পরিবার তাকে ওই বাসায় কাজের জন্য রেখে যায়। এরপর থেকে চন্দন তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তার ধারনকৃত ধর্ষণের এসব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পাষন্ড চন্দন দীর্ঘ দেড় বছর যাবত তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়।
প্রতিবাদ করলে হাত পা বেঁধে রাখে। পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি জানার পরও তারা মেয়েটিকে কোন সহযোগীতা করেনি বলে সে অভিযোগ করে। শনিবার স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটির বাসা শহরের শাহীবাগ এলাকায় বলে পুলিশ জানায়।
এ ঘটনায় পুলিশ মেয়েটির জবানবন্দির প্রেক্ষিতে ওই বাসা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দুই নারীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে শহরের ষ্টেশন সড়কের হিরম্ময় প্লাজার তিনতলার বাসিন্দা ‘অরেঞ্জ ফ্যাশন’র মালিক চন্দন ধর (৪৫) পালিয়ে যায়।
শনিবার দিবাগত ভোর রাত তিনটার দিকে মৌলভীবাজার জেলা সদরের জগৎসী গ্রামের এক পিসির বাসায় পালিয়ে আশ্রয় নেয়। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ ও র্যাবের শনিবার রাতভর যৌথ অভিযানে ধর্ষক চন্দনকে আটক করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, চন্দন ধরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি