সব
স্বাধীন বাংলার স্থপতি,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবসকে স্বরণ করে সিলেটের ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে অনুষ্টিত হয়েছে সভা-মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
১৯৭৫ সালের সেই ভয়াল-বীভৎস ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের নিহতদের মাগফেরাত কামনা ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ঠ গ্রেনেড হামলার নিহতদের মাগফেরাত কামনায় শনিবার উপজেলার তাজপুর বাজারে আলোচনা সভা শেষে বাজার জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।
বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা জাতীর জনকের জীবন কর্ম নিয়ে অনুষ্টিত সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান,সিনিয়র সহসভাপতি আব্দাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন মস্তান, আওয়ামীলীগ নেতা জুবায়ের আহমেদ শাহীন, সেবুল আহমদ,ফজলুর রহমান, কয়েছ আহমদ শানুর, আব্দুল মালেক, আব্দুল খালিক, ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ, যুবলীগ নেতা তাজপুর ইউপি সদস্য নেপুর আহমদ, দয়ামীর ইউপি সদস্য ফয়ছল আহমদ, সিদ্দেক আলী, কাওসার আহমদ, দবির আহমদ, গোয়ালাবাজার ইউপি যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মকসুদ আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমদ সাজন, উসমানপুর ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল তফাদার, কৃষকলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম,
সভায় বক্তারা বলেন,প্রকৃত সমস্ত গুণাবলী নিয়েই যেন জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর জীবন ছিল বহুবর্ণিল,কণ্ঠে ছিল জাদু। রচনা করেছিলেন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিজয়ের ইতিহাস। সেই ধন্য পুরুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল স্বাধিন বাংলার নাম।একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয়েছিল ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতেও জাতির হৃদয় থেকে তাঁকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব না হওয়ায় সেই ঘাতকসহ তাদের পেতআত্মারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার সড়ষন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ঠ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা চালিয়ে ছিল। সে দিন ভাগ্যগুনে সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও নিহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। সভায় এই নৃশংস হামলায় জড়িতদের বিচারের রায় দ্রæত কার্যকর করার আহব্বান জানানো হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র ছাত্র নেতা জুবায়ের আমিনের সভাপতিত্বে ও নবিদ আলী সেলিম ও মুহিবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় সভায় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা রয়েল আহমদ,সোহেল আহমদ, আব্দাল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, সুলতান রাজু, মুহাইমিন, কামিল আহমদ, রুবেল আহমদ, শাহেদ আহমদ, সজল আহমদ, হানিফ, সিজিল রুদ্র, আল-আমিন, সামু, উজ্জল, জুনেদ, সামাদ, সৈয়দ হুশিয়ার আলী, রাজন আহমদ, জাবের আহমদ, মনি, তুহিন, আলী আহমদ, হাবিব আহমদ, জাবেদ আহমদ, লিটু চৈৗধুরী, মোহন আহমদ, অনুপ, সুমন, রিংকু দেব, জুয়েল আহমদ প্রমুখ।
মিলাদ মাফিল শেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদ ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ঠ বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সকল সদস্য ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি