সব
১২ বছরের শিশু গৃহকর্মীকে বর্বরভাবে নির্যাতনের ঘটনায় আটক সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত (৩১ জুলাই) রাতে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়। মামলা নং-৪৯।
মামলা দায়েরের বিষয়টি আজ শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগকে তাদের নিজ বাসা থেকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানাপুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কিশোরী গৃহকর্মীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই শাবিপ্রবির গ্রাজুয়েট।
জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে ১২ বছর বয়েসি হালিমা আক্তার নামের কিশোরী গৃহকর্মীকে নানা অজুহাতে বেধড়ক মারপিট করে আসছেন সাবিনা ও সোহাগ। কয়েকদিন আগে লোহার জিআই পাইপ দিয়েও নির্মমভাবে মেরে তাকে আটকে রাখেন বাসায়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ওই গৃহকর্মী তাদের বাসা থেকে পালিয়ে আসে এবং পাশের বাসার আরেক গৃহকর্মীর সহযোগিতায় ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশকে নির্যাতনের কথা জানায়।
বিকেলে পুলিশ সিলেট আখালিয়া সুরমা আবাসিক এলাকার রেনেসা ১১ নম্বর বাসা থেকে ওই দম্পতিকে আটক করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার রাতে হালিমা আক্তারের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয় এবং তারা আসার পর সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বর্তমানে তারা থানাহাজতে রয়েছেন এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে পুলিশ জানায়।
এদিকে, নির্যাতিতা গৃহকর্মীকে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি