সব
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ভরপূর্নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিবন রাণী দাশ দেশসেরা প্রাথমিকে পাক্ষিকের কন্টেন্ট নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন। গত পহেলা জুন শিক্ষক বাতায়নে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়। রিবন রানী দাশ গত ১৪ মে জাতীয় পর্যায়ে উদ্ভাবক নির্বাচিত হন।
করোনাকালে যখন হবিগঞ্জসহ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঝিমিয়ে পড়ে তখন মানুষ গড়ার এই কারিগর করোনা কালে হবিগঞ্জ জেলার অনলাইন ক্লাস এর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এছাড়া ২০১৮ সালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়ে ২০১৯ সালে ভিয়েতনাম সফর করেন। তাঁর এই সাফল্যে হবিগঞ্জবাসী গর্বিত। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান রিবন রাণী দাশের সাফল্যে খুশি হয়ে তাকে ফুলেল দিয়ে সংবর্ধনা দেন। লাখাই উপজেলার জননন্দিত ও শিক্ষানুরাগী উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদও তাকে ফোনে অভিনন্দন জানান। সে ব্যাক্তি জীবনে লাখাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের অধীর চন্দ্র দাশেরবড় পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অবনী মোহন দাশের ভ্রাতৃস্পুত্র।
লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বাবু অজয় কুমার দাসের স্ত্রী। সে দুই সন্তানের জননী। পুর্ব সিংহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের অনুপ্রােরনাতে আইসিটি নিয়ে কাজ শুরু করেন। তার কষ্টার্জিত সাফল্যের যারা বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন তাদের সকলের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ত্রিপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সুবর্ণা রায় লিপা ও বানিয়াচংয়ের শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক আবুল কাশেম সহযোগিতা করেছেন । রাতজেগে কন্টাক্ট তৈরি করতেন। তার স্বামীর সহযোগিতা করায় এই সাফল্য অর্জন হয়েছে ।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার মজনুর রহমান বলেন, রিবন রাণী দাশের এ কৃতিত্বে আমরা গর্বিত এবং লাখাই বাসী গর্বিত।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি