লোভাছড়ার পাথর: উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে ফের নিলাম

সিলেট ডায়রি ডেস্ক ;
  • প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২০, ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৫ বছর আগে

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তৃতীয়বারের মতো কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে জব্দকৃত কোটি টাকার পাথরের নিলাম করেছে সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার বিকাল ৪টায় আলমপুরস্থ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনের উপস্থিতিতে টেন্ডার বক্স খোলা হয়। অথচ, গত ১০ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে এই পাথর নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। সেই নির্দশনাকে অমান্য করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নিজেই। টেন্ডার বক্স খোলার ভিডিও ফুটেজ দৈনিক একাত্তরের কথার কাছে সংরক্ষিত আছে, বুধবার রাতে বিষয়টি জানালে এমরান হোসেন তা এড়িয়ে যান।
সূত্র জানিয়েছে, লোভাছড়া নদীর দুই পাশসহ কানাইঘাট ব্রিজ পর্যন্ত রক্ষিত পাথরের প্রথম নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা নজরুল ইসলাম কর্তৃক সুপ্রিমকোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট আদালত বুধবারের নিলাম স্থগিতসহ, আবেদনকারি নজরুল ইসলামের ২৮ জুলাইয়ের আবেদন নিষ্পত্তির আদেশ দেন। আদেশে উচ্চ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হওয়ার পরবর্তী ৭ কার্যদিবস পর্যন্ত পাথর নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিতের নির্দেশ রয়েছে। রিট শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন দুদকের প্রধান আইনজীবী খোরশেদ আলম খান।
কিন্তু স্থগিতাদেশ থাকা স্বত্বেও বুধবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে পরিচালক মোহাম্মদ এমরান এমরান হোসেন টেন্ডার বক্স খোলার মাধ্যমে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেন।
পাথর ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়া স্বত্ত্বেও কেন তাকে নিলামে বর্ণিত এলাকার পাথর বুঝিয়ে না দিয়ে পুনঃনিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল, তা চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি আদালতে ২৮ জুলাইয়ের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিলাম, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন বিপণন ইত্যাদি স্থগিত রাখার জন্য আবেদন করেন। বিচারপতি শহিদুল করিমের আদালত ১০ আগস্ট ভার্চুয়াল কোর্টের শুনানী শেষে রিট পিটিশন (নং ১০৪/২০২০) নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত বুধবারের নিলাম স্থগিত করেন। কিন্তু সেটা অমান্য করে নিলাম প্রক্রিয়া চলমান রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নজরুল ইসলাম।
সর্বোচ্চ দরদাতা নজরুল ইসলামের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তব্য ছিলো নজরুল ইসলামের দায়েরকৃত আবেদন নিষ্পত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া। আদালতও এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এমরান হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শুধুমাত্র বলেন, পাথর নিলাম হয়নি। এ সময় তিনি ভনিতার আশ্রয় গ্রহণ করেন। নেটওয়ার্কে সমস্যা হচ্ছে- এমনটি বুঝাতে চেষ্টা করেন। বারবার হ্যালো হ্যালো বলে লাইনটি কেটে দেন। এর আগেও এমরান হোসেনের কাছে বক্তব্যের জন্য কল দেওয়া হলে তিনি এরকম নাটক করেন। বোঝাতে চেষ্টা করেন ফোন নষ্ট, কথা বোঝা যাচ্ছে না। অনেকেই মনে করেন, এটা এমরান হোসেনের একটা কৌশল।\

সুত্র- একাত্তরের কথা

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি