সব
অবশেষে আইজবীবী জুটেছে পুলিশের বহিস্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার কপালে। সিলেটের চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে লড়বেন অ্যাডভোকেট মো. মিসবাউর রহমান আলম। তিনি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর বারের সদস্য।
সম্প্রতি তিনি আকবরের পক্ষে ওকালতনামা জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজে।
এ ব্যাপারে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জানান, বিবাদির পক্ষে কেউ না দাঁড়ালে এ মামলা আদালতে মুভ করবে না। আর তাই আমি আকবরের পক্ষে ওকালতনামা জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত হলেও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আকবরকে অপরাধী সাব্যস্থ করতে হবে। তার আগে আইনি সহায়তা পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার।
গত ৯ নভেম্বর কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে পালিয়ে থাকা আকবরকে আটক করা হয়। পরে ১০ নভেম্বর সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেমের আদালতে তাকে হাজির করে পিবিআই কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসেন ৭ দিনের রিমান্ডে নেন।
১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দু’দিনই আকবরের পক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়ান নি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ রায়হানের মা ও তার পরিবারকে আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
ওকালতনামা সম্পর্কে সিলেট জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন একাত্তরের কথাকে বলেন, আইনি সহায়তা পাওয়া সব নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলাম আকবরের পক্ষে কেউ দাঁড়াব না। কিন্তু কেউ দাঁড়াতে চাইলে আমরা বাঁধাও দিতে পারি না। তবে যে আইনজীবীর কথা বলছেন আমি এখনো তা জানি না। তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানতে হবে।
গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত রায়হান সকাল ৮টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ শুরুতে গণপিটুনিতে রায়হানের মৃত্যু বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করলে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে সিলেট। বার বার ময়না তদন্তে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর বিষয়টি উঠে এসেছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি