সব
সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিন (৩৪) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে থানায়। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রায়হান উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যা এখন পরিষ্কার। এই বর্বর নির্যাতন ১৯৭১ সালের পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও হারা মানিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় যাদেরকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদেরকে অনতিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হতে হবে। তবে ঘটনার প্রথমদিকে পুলিশ ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে নেয়ার অপচেষ্টা চালালে সাধারণ মানুষ তাদেও সেই পরিকল্পনা ভেঙে দেয়। ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এই ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কোন ভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। পুলিশের কতিপয় লোকের কারণেই এই বাহিনী আজ ক্ষতিগ্রস্ত। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা ও পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের উপর আর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, এমসি কলেজের ন্যক্কারজনক ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি হয়েছে। আর পুলিশের হেফাজতে রায়হান উদ্দিন নামের এক যুবকের মৃত্যু ঘটনাটিও এখন বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার সময়। তা না হলে আলোচিত এই ঘটনাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আছে। পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিন মৃত্যুর ঘটনাটির বিচার না হয় তাহলে এই অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে সুজন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি