সব
মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের নীতির সমালোচনার করায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি শ্রমিক রায়হান কবিরকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সংস্থাটির এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন এক বিবৃতিতে বলছেন, রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপ সব অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার হরণের কথা বলার বিরুদ্ধে একটি শীতল বার্তা দিচ্ছে। তথ্যচিত্রের একজন বক্তব্যদাতাকে গ্রেপ্তার করা মানে মালয়েশিয়ার বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিধ্বংসী হামলা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, রায়হান কবিরের ব্যাপারে যেভাবে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে, তার প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। বিদেশিদের নিয়ে অহেতুক ভয়ের এই সময়ে রায়হান কবিরের ওপর মালয়েশিয়ার সরকারের এই রকম প্রকাশ্য হামলায় বিরোধী শক্তিকে রসদ জোগাবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকারে দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদেরও সুরক্ষা দেয়া হয়েছে এবং তাদের বাক স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এইচআরডব্লিউ বলছে, রায়হান কবিরের গ্রেপ্তার এবং আল জাজিরার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে দেশটির বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরণের দমন পীড়নের একটি অংশ, যেখানে সরকারের সমালোচনার করার কারণে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাধারণ নাগরিকরাও তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
‘অভিবাসীদের ওপর আচরণ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা কোন অপরাধ নয়, এরকম নির্যাতন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাও অন্যায় নয়। ‘মালয়েশিয়ার সরকারের উচিত রায়হান কবিরকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া এবং দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করার চেষ্টা করা।’
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন নিয়ে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী রায়হান কবির। তার জের ধরে ২৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তারের পর ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ।
দেশটির অভিবাসন পুলিশের মহাপরিচালক ঘোষণা করেছে যে, রায়হান কবিরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং আজীবনের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হবে, যেন তিনি আর মালয়েশিয়ায় ঢুকতে না পারেন।
বাংলাদেশের ২১টি সিভিল সোসাইটি গ্রুপ রায়হান কবিরকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি