সব
মৌলভীবাজারে একটি বাসায় গাঁজা পার্টির আয়োজন করে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জরিত বামপস্থি সংগঠন ছাত্রফন্ট্র ও বাসদের দুই নেতা এবং এক নারীবাদি সংগঠনের নেত্রী।
এ ঘটনায় সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
সজীব তুষারকে প্রধান আসামী করে এবং রায়হান আনসারী ও মারজিয়া প্রভাকে ধর্ষণের সহযোগী উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক।
এদিকে এই ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র সমালোচনা, প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষযটি নিয়ে ক্ষুব্ধ শহরের তরুণেরাও।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে গত ৩ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের সোনাপুর এলাকায় মাহমুদ এইচ খান নামে এক তরুণের বাসায়। তিনি একজন সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচিত। এই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ৫ জন, এরা সবাই তরুণ।
জানা যায়, ঘটনার পরপর এই ৫ জন মিলে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয়।
এই মামলার পূর্বেই সামাজিক মাধ্যমে রটে যাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সজীব তুষার এবং রায়হান আনসারীকে নিজ নিজ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৩০ আগষ্ট সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভা জেকে মাহমুদ এইচ খানের সহযোগী সদস্যপদ বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বামপন্থী সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খান নিজের ফেইসবুক পেইজে সামাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর সভাপতি সজিবুল ইসলাম তুষার এর বিরুদ্ধে মধ্যপ অবস্থায় এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি তার নিজ বাসায় গাঁজা পার্টির আয়োজনে আসা এক মেয়েকে তুষার মাদকাসক্ত করে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে এবং এই কাজে মারজিয়া প্রভা নামের এক নারীবাদী এবং রায়হান নামের এক বাম নেতা সহযোগীতা করেছেন বলে তিনি স্টেটাসে উল্লেখ করেছেন। এর একদিন পর অভিযুক্ত তুষার তার ফেইসবুক আইডিতে স্টেটাসে ওই দিনে গাঁজা পার্টি বসেছে এবং তারা মধ্যপ অবস্থায় সম্মতির ভিত্তিতে যৌন কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেন। তবে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বিকার করে তিনি ওই মেয়ের আগ্রহে যৌন কাজে লিপ্ত হয়েছেন তা অকপটে স্বীকার করেন। এঘটনার পর মৌলভীবাজারের বাম সংগঠনগুলোর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি