সব
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের পর মাদক মামলায় গ্রেফতার শিপ্রা দেবনাথ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
রোববার (০৯ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসেন শিপ্রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন।
এর আগে রামু থানায় করা মামলায় দুপুর ১টার দিকে শিপ্রার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন। শিপ্রার আইনজীবী অরুপ বড়ুয়া তপু জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মেজর সিনহার অপর সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদনের শুনানির দিন আগামীকাল সোমবার (১০ আগস্ট) নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা দুজনই স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। শিপ্রা দেবনাথের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা এলাকায়। মা-বাবাকে নিয়ে ঢাকার রামপুরা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।
এছাড়া টেকনাফের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে সিফাতের জামিন আবেদন করা হলে আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য করা হয় বলে জানিয়েছেন সিফাতের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম দিপু।
গত ৩ জুলাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজার যান সিনহা।
৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে মামলাটি টেকনাফ থানা পুলিশের ওসিকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বিচারক।
একই সঙ্গে র্যাব-১৫ এর কমান্ডারকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে। এরই মধ্যে মামলার ১, ২ ও ৩ নম্বর আসামির সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি