সব
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মা ও মেয়েকে গরু চোর অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পেটানোর অভিযোগ ওঠেছে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। দিনে-দুপুরে একদল লোক মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে রাস্তায় ঘুরানোর ছবিটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোমরে রশি বেঁধে দুই নারীকে প্রকাশ্য সড়কে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুই নারীর চারিপাশে উৎসুক লোকজন এই ঘটনা দেখছে। পরে পুলিশ এসে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
গত শুক্রবার দুপুরে হারবাং পহরচাঁদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ছবি প্রকাশের পর এটি শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে প্রকাশ পায়। মা ও মেয়ে চকরিয়া হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই দুর্বল বলে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চকরিয়া থানার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার স্থানীয়দের মাধ্যমে তারা খবরটি শোনেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মা-মেয়েকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার অনুসারী লোকজন। অপরদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, একদফা মা-মেয়ের ওপর নির্যাতন চলার পর হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) পাঠিয়ে তাদেরকে রশিতে বেঁধে তার কার্যালয়ে এনে আবার নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। উপর্যুপরি নির্যাতন শেষে চেয়ারম্যানের লোকেরাই তদন্তকেন্দ্রে ফোন করে মা-মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য চেয়ারম্যানের নাম্বারে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, মা-মেয়েকে পেটানোর বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে স্থানীয় এক ব্যক্তির গরু চুরির ঘটনায় মা-মেয়েকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মা-মেয়েসহ চারজনের বাড়ি পটিয়ার শান্তিরহাটে। অপরজনের বাড়ি পেকুয়ার লালব্রিজ এলাকায়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনা জানার পর থেকে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি