সব
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্ববৃহত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী। দীর্ঘদিন ধরে বন্দ রয়েছে এই পাথর কোয়ারীটি। কোয়ারীটি বন্দ থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে শ্রমিকরা। শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের মিটিং মিছিল প্রধান মন্ত্রীর নজরে আসলে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী পরিষদের সচিবকে।
সিলেটের প্রান্তিক জনপদে অবস্থিত পাথর কোয়ারী সমূহ বন্ধ থাকার ফলে লাখো মানুষের জীবন জীবীকায় দেখা দেয়া সংকট ও দুরবস্থার প্রেক্ষিতে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহনের নিমিত্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় মন্ত্রী পরিষদ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) কামাল হোসেন ২৯ আগস্ট শনিবার সিলেটের পাথর কোয়ারী এলাকা সমূহ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী পরিষদ সচিব প্রথমে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তিনি কোয়ারীর বিস্তীর্ণ এলাকা প্রত্যক্ষ করেন।ভোলাগঞ্জ এলাকায় এসময় শ্রমিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে কোয়ারী বন্ধ থাকার ফলে সৃষ্ঠ সংকট এবং কর্মহীন হয়ে পড়া লাখো মানুষের দূর্দশার কথা সচিব কে অবহিত করেন।
এতে অর্থনৈতিকব্যবস্থা অচল ও স্থবিরতা নিরসনে পাথর কোয়ারি খোলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শনিবার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংষ্কার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করে যান। তাই মন্ত্রীপরিষদের সচিবদের দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছেন লক্ষাধিক শ্রমিক যে কি বারতা পৌছবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কোম্পানীগঞ্জে সচিব কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম ভোলাগঞ্জ স্থল বন্দরে এসে পৌঁছেন।প্রতিকূল পরিবেশে ও প্রচন্ড বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে হাজারো শ্রমজীবি মানুষের উপস্থিতিতে মন্ত্রী পরিষদ সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব কামাল হোসেন পাথর কোয়ারীর বিভিন্ন সমস্যাদি খুটিয়ে খুটিয়ে অবলোকন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান,জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপমা দাশ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বাছির, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি নজরুল, ওসি (তদন্ত) মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ইসলাম পুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংবাদিক শাব্বির আহমদ, আবদুল আলিম, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, মাসুক মিয়া,পাথর ব্যবসায়ী রেনু মিয়া প্রমুখ প্রমুখ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আব্দুন নূর বলেন, পাথর কোয়ারীর পরিবেশ এবং প্রতিবেশ রক্ষা করে শ্রমজীবী মানুষের বিশাল এ কর্মক্ষেত্র খোলে দিলে এ অঞ্চলের লাখো শ্রমজীবী মানুষ তাদের পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকতে সক্ষম হবে। তিনি পাথর আহরণ বন্ধ থাকায় রোজগারহীন মানুষের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা সচিব কে অবহিত করেন এবং পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষে সার্বক্ষনিক প্রশাসনিক মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহন করে পাথর কোয়ারী সমূহ খোলে দেয়ার দাবী জানান।
এ সময় উপস্থিত কোম্পানীগঞ্জের প্রবীন ব্যক্তিত্ব সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল বাছির বলেন,-যুগ যুগ ধরে সিলেটের প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীর একমাত্র রোজগার স্থল পাথর কোয়ারী থেকে পাথর আহরণ করে মানুষ বেঁচে আছেন। কয়েক বছর ধরে এ রোজগার স্থলটি বন্ধ করে দেয়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।পরিবেশের দোহাই দিয়ে স্বার্থবাদী মহল সিলেটের এ বৃহৎ রোজগারস্থলটি বন্ধ করে দিতে অপচেস্টায় লিপ্ত রয়েছে।তিনি সিলেটের প্রান্তিক জনপদের লাখো মানুষের জীবন জীবীকা রক্ষায় অবিলম্বে পাথর কোয়ারী শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য খোলে দেয়ার দাবী জানান। মন্ত্রীপরিষদ সচিব মনযোগ সহকারে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের কথা শোনেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি