সব
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভুল চিকিৎসায় খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ওরাইল গ্রামের কাউসারের স্ত্রী। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকার গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজার শ্বশুর মো. মলফত আলী অভিযোগে করে বলেন, আমার পুত্রবধূকে ভুল অপারেশন করে ডা. মাসুদুর রহমান মেরে ফেলেছেন। ঘটনার পর হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সসহ সকল কর্মচারী পালিয়ে গেছেন।
জানা গেছে, খাদিজা বেগমের পেটে ব্যথা হলে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানান- খাদিজার পেটে পাথর হয়েছে, অপারেশন করতে হবে। পরে শুক্রবার দুপুর দেড়টায় অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
নিহত খাদিজার স্বামী কাউসার বলেন, আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের ডাক্তার মাসুদুর রহমান ভুল অপারেশনে মেরে ফেলেছেন। রোগীর মৃত্যুর পর মরদেহ জোর করে অপারেশন রুম থেকে বের করে তারা অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রাখেন।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনার আবেদন করলেও তাদেরকে আমরা অনুমোদন দেয়নি। তিনদিন আগে আমার অফিসের একটি টিম ওই হাসাপাতালে পরিদর্শনে গিয়েছিল। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করা হবে।
এদিকে ঘটনার পর গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, ম্যানেজার ও কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে হাসপাতালের উপদেষ্টা তোফাজ্জল হক জানান, অপারেশনে রোগী মারা যেতেই পারে। অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগী মারা গেছে, যা ডাক্তার বলেছেন। এটা একটি দুর্ঘটনা।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি