সব
সিলেটের দেড় মিনিটের ব্যাবধানে ভূমিকম্পে বন্দরবাজারস্থ প্রাচীন বিদ্যাপিট রাজা জিসি হাই স্কুলের দ্বিতল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ভবনের নাম ‘কামরান ভবন’।
সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা ২৯ মিনিটে প্রথম দফায় এবং ৬ টা ৩০ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হলে তাৎক্ষণিক কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও রাত ৮টার দিকে রাজা জিসি স্কুল ভবনে ফাটলের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতংক বিরাজ করছে নগরজুড়ে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট নগরীতে ৩.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এ ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. আব্দুল মুমিত।
তিনি জানান- আগের কয়েকদফা ভূ-কম্পনের পর আজ সন্ধ্যার দুই দফা ভূমিকম্পে সিটি সুপার মার্কেট লাগোয়া দ্বিতল ভবনটিতে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু জায়গায় ফাটল থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। ফলে বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে স্কুলের এই ভবনটি।
প্রধান শিক্ষক জানান- সিলেটের এই প্রাচীন বিদ্যাপিট রাজা জিসি হাই স্কুল ১৮৮৬ সালে স্থাপিত হয়। এছাড়া ফাটল ধরা ভবনটির নিচতলা নির্মিত হয়- ২০০৬-৭ সালে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে দ্বিতীয় তলার কাজ শেষে ভবনটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। আজকের ভূমিকম্পে ওই ভবনের প্রত্যেকটা রুমে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমনকি রুমের ভীমেও দেখা দিয়েছে ফাটল।
এদিকে ভবন ফাটলের খবর পেয়ে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী রাজা জিসি স্কুল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন।
স্কুল পরিদর্শন শেষে পূর্বে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বন্ধের সময় আর বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই ভবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এখানে আবেগের কোন স্থান নেই। আমি আগামীকালই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিবো। ঝুঁকিপূর্ণ সকল ভবন ভাংবেন না কি করবেন তা উনারা সিদ্ধান্ত নিবেন। তা না হলে এরকম অবস্থায় কেউ এসব ভবন-মার্কেটে অবস্থান করতে পারবেন না।’
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ২৯ মিনিটের সময় সিলেটে প্রথম মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ০৬ টা ৩০ মিনিটে আবারও কেঁপে ওঠে সিলেট। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৮.৩।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি