সব
ভূমধ্যসাগর দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালিতে মানবপাচারকারী স্থানীয়ও আন্তর্জাতিক চক্রের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আহমদের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম খান।
অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক এনামুল হক, সিলেটের গোলাপগঞ্জের জায়েদ আহমেদ, ব্রাম্মণবাড়িয়ার রাজ্জাক হোসেন,নোয়াখালির মনজুর হোসেন রুবেল,ইয়াকুব রিপন ও আন্তর্জাতিক চক্রের মুল হোতা লিবিয়া প্রবাসী নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে গুডলাক। এদের মধ্যে এনামুল হক ও আব্দুর রাজ্জাক কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ঢাকার সাইফুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান,মানবপাচারকারী এই চক্রটি স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বিদেশ যেথে আগ্রহীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইতালি পাঠাতো। এছাড়া এ চক্রটি লিবিয়ায় মানুষকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো।
২০১৯ সালের ৯ মে ভূমধ্যসাগর পথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাবার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান বেশ কিছু বাংলাদেশীসহ অন্তত ৬৫ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সিলেটের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ মে রাতে সিলেটের আলোচিত মানবপাচারকারী এনামুল হকসহ ২০ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভূমধ্যসাগরে নিহত আব্দুল আজিজের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন।
সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াড প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি