সব
টানা প্রচার-প্রচারণা। দিনরাত এক করে গণসংযোগ। অবশেষে কাঙ্খিত বিজয়। মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরীর প্রথম দিনটা কেটেছে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। পরের দিন (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শহরকে নির্বাচনী পোস্টার মুক্ত করতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন। একদিনের মধ্যে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহর ও ভোট কেন্দ্রে এলাকা থেকে পোস্টার সরিয়ে ফেলেন।
জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের প্রচারে প্রার্থীরা পৌর শহর, পাড়া-মহল্লা, ভোট কেন্দ্র এলাকায় পোস্টার, ব্যানার লাগান। বাসা-বাড়ির দেয়ালগুলোয়ও পোস্টার লাগানো হয়। ভোট গ্রহণ ও ফলাফলের মধ্য দিয়ে বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও শহরের আকাশ আড়াল করে ঝুলছিল নির্বাচনী পোস্টার। মেয়রের নির্দেশে বুধবার সকাল থেকে শহরের পানিধার এলাকা থেকে সেই পোস্টার সরানোর কাজ শুরু করেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এরপর ধারাবাহিকভাবে শহরের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র, পাড়া-মহল্লা থেকে সকল প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার সরিয়ে ফেলা হয়। বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বেশিরভাগ এলাকা পোস্টার মুক্ত করা হয়।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে পৌর শহরের সিংহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথারিয়া ছোটলিখা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ষাটমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারী শিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজ, উত্তর চৌমুহনী, মধ্যেবাজার এলাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পোস্টার নামানোর কাজ করতে দেখা গেছে।
পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, ‘শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পৌরসভার লোকজনকে দিয়ে বুধবার ৭০-৮০ ভাগ এলাকার পোস্টার নামিয়ে ফেলেছি। কিছু এলাকায় (পাড়া-মহল্লায়) পৌরসভা বড় গাড়ি প্রবেশ করেনি। এগুলো ছোট গাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরানোর কাজ শেষ হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলাম মুঠোফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬ ভোট।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি