বড়লেখায় হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে মামলা

বড়লেখা প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২০, ২:৩৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বাড়ি থেকে দুটি মায়া হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় দুজনের নামে মামলা হয়েছে। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার সদর কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন বাদী হয়ে সোমবার (২৪ আগস্ট) বন আদালতে এই মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন- বড়লেখা পৌর শহরের গাজিটেকা (আইলাপুর) এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম। চামড়াগুলো তাদের বাড়ির একটি শৌচাগারের ছাদ থেকে উদ্ধার হয়।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে গোপন তথ্য ছিল বড়লেখা পৌরসভার একটি বাড়িতে হরিণের চামড়া মজুদ আছে। এর প্রেক্ষিতে রোববার (২৩ আগস্ট) আইলাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বন বিভাগ অভিযান চালায়। অভিযানে দুটি চামড়া উদ্ধার হয়। চামড়া দুটি বাড়ির ভেতরের একটি শৌচাগারের ছাদের উপরে পলিথিনে মোড়ানো ছিল। চামড়াগুলো কয়েক মাস আগের। শুকিয়ে অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করা ছিল। তবে এসময় বাড়িতে সাইদুল বা পরিবারের অন্য কোনো পুরুষ সদস্যকে পাওয়া যায়নি। এ করাণে ঘটনার সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আনিসুর রহমান, বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের রেঞ্জ কমর্কতা শেখর রঞ্জন দাস, বড়লেখা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস, উপ পরিদর্শক (এসআই) হযরত আলী, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ।

চামড়া উদ্ধারের মামলায় অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ৭০ মণ পলিথিন জব্দের জের ধরে পৌর শহরে সংঘর্ষ ঘটনায় দুটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। তিনি সোমবার জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েছেন। চামড়া উদ্ধারের বিষয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করেছে। চামড়া উদ্ধারের সময় আমি কারাগারে ছিলাম। আমার বাড়িটি সিসি ক্যামেরার আওতায়। তবে যেখানে পাওয়া গেছে এই জায়গাটা সিসি ক্যামেরার বাইরে। শৌচাগারটি আমরা কেউ ব্যবহার করি না। বাড়ির কাজের লোকজন ব্যবহার করেন।’

মায়া হরিণের চামড়া উদ্ধারের বিষয়ে দুজনের নামে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার সদর কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি