সব
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সাতকরাকান্দি গ্রামে ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সাতকরাকান্দি গ্রামের ভূমি ও গৃহহীনদের পক্ষে স্থানীয় এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সমাজসেবক আজির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব পুরকায়স্থ ও তানভীর আহমদ তানিনের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, উপজেলা যুবলীগ নেতা এনাম উদ্দিন, সমাজসেবক রয়ফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন, এলাকার বাসিন্দা মুছব্বির আলী, ফখর উদ্দিন, পল্লী চিকিৎসক বেলাল আহমদ, বলাই মিয়া, আজিজুর রহমান, আখই মিয়া, জামাল উদ্দিন, বিজয় দাস, প্রদ্যুৎ দাস, বিপ্লব দাস, নজরুল ইসলাম। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে বক্তব্য দেন খলিলুর রহমান, আয়েশা বেগম, রাবিয়া বেগম, আব্দুল জলিল, রাজু আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, হানাই বেগম, রুনা বেগম, সফিক উদ্দিন, রোকেয়া বেগম, সুজানা বেগম, আয়াতুন নেছা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে কাবিটা কর্মসূচির আওয়তায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় পাকাঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকরাকান্দি গ্রামে ১০টি পরিবারকে পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। যাদের জায়গায় এই ঘরগুলো তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের নাম তালিকায় রাখা হয়নি। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নাম রহস্যজনক কারণে বাদ দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন অন্য এলাকার লোকজনদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এই তালিকায় সাতকরাকন্দি গ্রামের কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের নাম নেই, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা পুনরায় যাচাইবাছাই করে এলাকার প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে কাবিটা কর্মসূচির আওয়তায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় পাকাঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বড়লেখা উপজেলায় ৫০টি পরিবারকে পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সদর ইউনিয়নের সাতকরাকান্দি গ্রামে ১০টি পরিবারকে পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা তালিকা যাচাইবাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। যাদের ঘর নেই, ধারাবাহিকভাবে তাদেরও ঘরে তৈরি করে দেওয়া হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি